কে কোন প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকবেন, তা নিয়েই প্রাথমিক ভাবে গন্ডগোলের সূচনা বলে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েক জন জানিয়েছেন। — নিজস্ব চিত্র।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই প্রেক্ষাগৃহে ঢোকাকে কেন্দ্র করেই বাইরে তখন বিজেপি কর্মীদের গন্ডগোল ও অশান্তি। হল ধাক্কাধাক্কি, খানিক হাতাহাতিও। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্বের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘খোলা হাওয়া’ নামের একটি সংগঠন। বিজেপিরই কয়েক জন নেতা ওই সংগঠন তৈরি করেছেন বলে জানা যায়। সেই অনুষ্ঠানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন শাহ। তিনি প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে যাওয়ার পর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া বিজেপি কর্মীরাও ভিতরে যেতে চান। কে কোন প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকবেন, তা নিয়েই প্রাথমিক ভাবে গন্ডগোলের সূচনা বলে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েক জন জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। তাঁর সামনেই গন্ডগোল হয়। শমীক তখন দলীয় কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন। যদিও এ নিয়ে শমীক কোনও মন্তব্য করেননি। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব বা শমীক কোনও প্রতিক্রিয়া জানালে তা এই প্রতিবেদনের সঙ্গে পরে যুক্ত করা হবে।
একাধিক কর্মসূচি নিয়ে সোমবার রাতেই রাজ্যে এসেছেন শাহ। মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা পরান শাহ। ঘুরে দেখেন রবি ঠাকুরের বাড়ি। শাহের সঙ্গে জোড়াসাঁকোয় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে নাম না করে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, হৃদয়ের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের আরাধনা করা উচিত। রবীন্দ্রনাথের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়া উচিত নয়।