—প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়েছে কয়েক জন যুবক। সেখানেই আসবেন এক ব্যক্তি, যাঁর কাছে ওই যুবকেরা সোনার মুদ্রা, বাট বিক্রি করবে। বিশেষ সূত্রে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তাতেই ধরা পড়ে যায় তিন যুবক। যাদের এক জন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সিভিক ভলান্টিয়ার!
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃত তিন যুবকের সঙ্গে আরও দু’জন ছিল। তাদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের নাম বরুণপ্রসাদ দত্ত, হাফিজুল মণ্ডল ওরফে আকাশ এবং জয় চক্রবর্তী। সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণের বাড়ি উত্তরপাড়ায়। হাফিজুল বসিরহাটের এবং জয় বেহালার বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, রুপোর কয়েন বা বাটকে সোনার জলে চুবিয়ে তা দিয়ে লোকজনকে বোকা বানিয়ে টাকা নিত অভিযুক্তেরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে খড়দহের বলরাম হাসপাতালের সামনে কয়েক জন জড়ো হয়েছে বলে খবর আসে। জানা যায়, তাদের কাছে প্রায় এক কেজি সোনার কয়েন রয়েছে। যা ৫০ লক্ষ টাকায় মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হবে। সেই খবর পেয়েই হানা দেয় পুলিশ। ধৃতদের থেকে ৫০ গ্রাম ওজনের দু’টি রুপোর কয়েন উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই দু’টি কয়েনের ছবি নমুনা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদের এক ক্রেতার কাছে। বলা হয়েছিল, এক কেজি এমন সোনার কয়েন নিতে হলে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে হবে। পুলিশ জেনেছে, হাফিজুলকে দিয়েই এই চক্রের মূল পান্ডা কয়েন দু’টি পাঠিয়েছিল। ওই ব্যক্তির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সেই ক্রেতারও খোঁজ চলছে।