Fraud Case

ভুয়ো ইমেল করে প্রায় পাঁচ কোটি প্রতারণায় গ্রেফতার

ধৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। সিআইডি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি রানাঘাট কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। সোমবার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকিট কেটে দিল্লি পালানোর ছক কষেছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ০৭:২৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মন্ত্রী, বিচারপতি, মুখ্যসচিব-সহ সিনিয়র অফিসারদের নামে ভুয়ো ইমেল তৈরি করে প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ সরকার। সোমবার বিকেলে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের একটি বিপণির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন সিআইডি-র সাইবার ক্রাইম থানার গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে দশ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

ধৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। সিআইডি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি রানাঘাট কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। সোমবার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকিট কেটে দিল্লি পালানোর ছক কষেছিলেন তিনি।

সিআইডি সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত বছরকয়েক আগে। অভিযোগকারী ব্যক্তি কলেজের শিক্ষক। পাশাপাশি তাঁদের পারিবারিক ব্যবসাও রয়েছে। অভিযোগকারীর বাবার মৃত্যুর পরে সম্পত্তি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ হলেও একটি সং‌স্থা ভাগ হয়নি। সেটির দেখাশোনা করতেন অভিযোগকারীর দাদা। অভিযোগ, দাদা কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই সংস্থা নিজের নামে করে নেন। যা নিয়ে অভিযোগকারী ল’ ট্রাইবুনাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতেও কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

বিষয়টির সুরাহা না হওয়ার কথা অভিযুক্ত সিদ্ধার্থকে জানিয়েছিলেন তিনি। সিদ্ধার্থ তখন অভিযোগকারীকে জানান, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে তাঁর চেনা-জানা রয়েছে, ফলে কাজ হয়ে যাবে। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, এর পরেই এক খ্যাতনামা আইনজীবীর নামে ভুয়ো ইমেল তৈরি করা হয়। সেখান থেকে অভিযোগকারীর কাছে মেল পাঠিয়ে বলা হয়, তিনি বিষয়টি দেখছেন। এ জন্য ফি বাবদ মোটা টাকা জমা দিতে বলেন। ওই পদ্ধতিতেই অভিযুক্ত কখনও বিচারপতির নামে ভুয়ো নির্দেশ, কখনও মুখ্যসচিবের নামে সরকারি ভুয়ো নির্দেশ বানিয়ে তা ইমেল করে পাঠান অভিযুক্তকে। এমনকি, পুলিশ আধিকারিকদের নাম করেও ভুয়ো মেল করা হয়। এবং প্রতি বারই মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। চলতি বছরের গোড়ায় অভিযোগকারী বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এর পরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

সিআইডি জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা নেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলির মালিক ভিন্ন হলেও সব ক’টি অ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ধৃত সিদ্ধার্থ সরকারের মোবাইল নম্বর। পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement