প্রতীকী ছবি।
কামারহাটি থেকে পাঠানো জলের নমুনাতেও মিলল কলেরার জীবাণু। শুক্রবার নাইসেড থেকে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। সেই মতো এলাকার সমস্ত জলাধারে ক্লোরিন মেশানোর মাত্রা বাড়িয়েছে পুরসভা। কিন্তু পানীয় জলের লাইনে কোথায় এই বিপত্তি ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এ দিন অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, কেএমডিএ, কামারহাটি জুটমিল, বরাহনগর-কামারহাটি যৌথ জলপ্রকল্প এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলপ্রকল্প থেকে গোটা পুর এলাকায় জল সরবরাহ করা হয়। তার মধ্যে কেএমডিএ এবং কামারহাটি জুটমিলের জল যায় আক্রান্ত এলাকাগুলিতে। কামারহাটির পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘পানীয় জলের পাইপলাইনে কোথায় ফাটল ধরেছে, তার খোঁজ শুরু হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত সমস্যার উৎস খুঁজে বার করতে।’’
সূত্রের খবর, এ দিন বেশ কয়েক জন রোগী সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪০। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যালোজ়েন ট্যাবলেট, ওআরএস-সহ অন্যান্য ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কেও খোঁজ নিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বিমল সাহা জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে যদি দেখেন, কারও শরীর বেশি খারাপ, কিংবা কোনও বাসিন্দা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চান, তা হলে তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অস্থায়ী চিকিৎসা শিবিরে আনা হচ্ছে। সেখান থেকেই কাদের হাসপাতালে যেতে হবে, তা জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জলেও কলেরার জীবাণু মিলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সুডা-সহ অন্যদের সঙ্গে রাজ্য স্তরে বৈঠক করা হয়েছে। এ দিন মাত্র ৫৬ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’’