মা উড়ালপুল।
ফের চিনা মাঞ্জা সুতোর জেরে দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থল সেই মা উড়ালপুল। এ দিন আহত হয়েছেন এক বাইকচালক। গত ২৬ নভেম্বর থেকে এই নিয়ে তিন দিনে ওই উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় আহত হলেন চার জন। প্রতিটি দুর্ঘটনার পিছনে অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে এই চিনা মাঞ্জা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে উড়ালপুলে পুলিশের নজরদারি নিয়ে। সেই সঙ্গে আরও প্রশ্ন, উড়ালপুলের দুর্ঘটনাপ্রবণ অংশ ঘিরে দেওয়ার কাজ কেন শেষ করা হচ্ছে না?
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে মা উড়ালপুলের পাশে, পার্ক সার্কাস চার নম্বর সেতুর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত মোটরবাইক চালকের নাম ওমর মোক্তার। এ দিন দুপুরে পার্ক সার্কাসের দিক থেকে সায়েন্স সিটির দিকে আসছিলেন বছর পঁচিশের ওমর। মাথায় পরা ছিল হেলমেট। চার নম্বর সেতুর কাছে আচমকা ঘুড়ির সুতো তাঁর গলায় জড়িয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে মাঞ্জার সুতোর কিছুটা অংশ হাত দিয়ে ধরে নিলেও দুর্ঘটনা আটকানো যায়নি। গলায় সুতো জড়িয়ে আহত হন ওমর।
উড়ালপুলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাই দ্রুত ওই যুবককে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে তাঁর গলার আঘাত গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে।
দিন তিনেক আগে মা উড়ালপুলে একই ভাবে চিনা মাঞ্জা সুতোয় জড়িয়ে আহত হয়েছিলেন পার্ক স্ট্রিট থানার এক মহিলা পুলিশকর্মী দীপালি অধিকারী। তাঁর মুখের অংশে আঘাত লেগেছিল। এর জন্য তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। দীপালির সঙ্গী, আর এক মহিলা পুলিশকর্মীও বাইক থেকে পড়ে আহত হন। গত রবিবার একই ভাবে চার নম্বর সেতুর কাছে আহত হন নিউ টাউনের বাসিন্দা এক যুবক। তাঁর নাক ও চোখে আঘাত লাগে।
প্রসঙ্গত, চিনা মাঞ্জার জেরে দুর্ঘটনা আটকাতে পুজোর আগেই মা উড়ালপুলের দু’পাশ ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ৯০০ মিটার ঘেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু’দফায় সেই কাজ করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজ প্রায় শেষের মুখে চলে এলেও হলেও দুর্ঘটনাপ্রবণ কিছু অংশ এখনও ঘেরা হয়নি।