প্রতীকী ছবি।
মাত্র আট মাসের রিজওয়ানুরের লিভার প্রতিস্থাপনের পরে এক বছর কেটে গিয়েছে। আর দশটি শিশুর মতোই বেড়ে উঠছে সে। আরও এ রকম অনেক রিজওয়ানুর বসে রয়েছে লিভারের আশায়। কিন্তু, চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে না লিভার। রিজওয়ানুরের মা রিনা বিবির লিভারের একটি অংশ নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল রিজওয়ানুরের শরীরে। কিন্তু, সবার ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয়ের রক্তের গ্রুপ বা অন্য মাপকাঠি সব সময় মেলে না। তখন মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির লিভারের উপরে নির্ভর করতে হয়।
শুক্রবার অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে ওয়েবিনারের মাধ্যমে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক মহেশ গোয়েনকা জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে বছরে প্রায় দুই লক্ষ মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। যাঁদের মধ্যে এক লক্ষ মানুষের অঙ্গ অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন সম্ভব। কিন্তু এই কাজে এগিয়ে আসেন মাত্র এক হাজার জনের পরিবার। সচেতনতার প্রসার ঘটিয়ে এই সংখ্যাটা বাড়ানোর প্রয়োজন।
রিজওয়ানুরের বাবা, বারাসতের বক্কার আলি পেশায় আনাজ বিক্রেতা। তিনি জানিয়েছেন, জমি, ঘটিবাটি বিক্রি করে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ছেলের লিভার প্রতিস্থাপন করিয়েছেন। ওই হাসপাতালেই তাঁর ছেলের চিকিৎসা হয়েছিল। গত এক বছর ধরে চিকিৎসার খরচ সামলাতে তাঁর নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় নয় হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে ছেলের জন্য। তাঁর কথায়, ‘‘এই খরচের দিকটাও সকলের ভেবে দেখার প্রয়োজন।’’
হাসপাতালের সিইও রানা দাশগুপ্ত শুক্রবার বলেন, “বক্কারেরা খুব গরিব। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব ছাড় দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরে যেখানে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি চলে যাওয়া যায়, সেখানে ওইটুকু শিশুকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে। ২৫ দিন পরে ছাড়া পেয়েছে।”