নারকেলডাঙা

লরির নীচে পিষ্ট শিশু, ধৃত অবরোধ

লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ নারকেলডাঙা থানা এলাকার শিবতলা লেনে একটি বস্তির সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মায়ের সঙ্গে খেলতে খেলতে ওই শিশুটি আচমকা চলন্ত লরির সামনে এসে পড়ে। শিশুটির মাথার উপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রিয়াংশু সোনকার (৬) নামে ওই শিশুটির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:২১
Share:

লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ নারকেলডাঙা থানা এলাকার শিবতলা লেনে একটি বস্তির সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মায়ের সঙ্গে খেলতে খেলতে ওই শিশুটি আচমকা চলন্ত লরির সামনে এসে পড়ে। শিশুটির মাথার উপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রিয়াংশু সোনকার (৬) নামে ওই শিশুটির।

Advertisement

উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা লরিটিকে ধরে ফেলে চালককে মারধর শুরু করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গাড়িটি মোড় ঘোরার সময়ে কোনও হর্ন দেয়নি। লরি ভাঙচুরের পরে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধও করা হয়। পরে পুলিশ এসে উপেন্দ্র রায় নামে ওই চালককে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে। আটক করা হয় লরিটিকে। এর পরে অবরোধ ওঠে।

পুলিশ জানিয়েছে, দিন চারেক আগে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিহারের বাসিন্দা রামধর সোনকার তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে কলকাতায় আসেন। তার পরেই এ দিন দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে যায় পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ ভিড় সরানোর সময়ে লাঠি চালায়। সঙ্গে মহিলা পুলিশ ছিল না। লাঠির ঘায়ে আহত হন বস্তির কিছু মহিলাও। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, বাসিন্দাদের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন দুই পুলিশকর্মী।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় কয়লাডিপোর কয়লাভর্তি লরিগুলির বেলেঘাটা রোড দিয়ে সরাসরি বেরোনোর রাস্তা থাকলেও সেগুলি পাড়ার মধ্যে দিয়ে ঘুরে যায়। পাড়ার রাস্তায় কোনও বাম্পারও নেই। আগেও ওই পাড়ায় একই ভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বার বার কাউন্সিলরকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজেশ খন্না আগের কাউন্সিলরের উপরে সমস্ত দায় চাপিয়ে বলেন, ‘‘পুরসভার সঙ্গে কথা বলে ৩-৪ দিনের মধ্যেই বাম্পার করে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement