প্রতীকী ছবি।
বাবা-মায়ের সঙ্গে গত রবিবারই পুজোর জামা কিনে বাড়ি ফিরেছিল আট বছরের মৌ মণ্ডল। সেই জামা আর পরা হল না তার। পঞ্চমীর রাতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল হাওড়ার বেলগাছিয়া এফ রোডের কুঞ্জপাড়ার বাসিন্দা, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মৌয়ের।
যদিও ওই শিশুর মৃত্যু ডেঙ্গিতে হয়েছে বলে সরকারি কোনও তথ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার কাছে পৌঁছয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘এমন কোনও তথ্য সরকারি ভাবে আসেনি। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ঘোষণা করবে।’’ হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘এমন খবর নেই। উত্তর হাওড়া জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লেও বেলগাছিয়া এলাকায় ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’’
পারিবারিক সূত্রের খবর, কর্মসূত্রে এফ রোডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সপরিবার থাকেন ওই শিশুর বাবা অধীর মণ্ডল। তাঁর বড় ছেলে, কলেজছাত্র সৌমিক জানান, গত রবিবার অল্প গা গরম হয়েছিল মৌয়ের। মঙ্গলবার জ্বর বেড়ে যাওয়ায় তাকে প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়। জ্বর না কমায় ওই দিনই স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখানো হয়। তিনি মৌয়ের রক্ত পরীক্ষা করাতে বললে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। এর পরে বুধবার দুপুরে শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে শিশুটির। সে দিনই হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
সৌমিক বলেন, ‘‘সেখানে বলা হয়, নবান্নের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বোন। সেই পরামর্শ মেনে ওই বেসরকারি হাসপাতালে গেলে বলা হয়, চিকিৎসক নেই। সন্ধ্যায় মৌকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু সাড়ে আটটা নাগাদ সব শেষ।’’ ওই হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের কথাই লেখা হয়েছে।