প্রতীকী ছবি।
দূষণ প্রতিরোধের কাজে ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের জরিমানা নিয়ে অস্বস্তিতে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জরিমানা বাবদ ১০ কোটি টাকা জমাও দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা শহরের দূষণ কমাতে দিন কয়েক আগে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছে পরিবেশ আদালত। এ বার সেই নির্দেশ মেনে কাজ করতে উদ্যোগী হল সরকার। আজ শুক্রবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এক বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের পরিবহণ দফতর, পরিবেশ দফতর, পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার পদস্থ কর্তাদের থাকার কথা।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, পরিবেশ আদালত আগেই নির্দেশ দিয়েছিল ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিল করতে হবে। ইতিমধ্যেই ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি রাস্তায় চলা বন্ধ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই সব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এখনও খাতায় কলমে রয়েছে। বিপত্তি সেখানেই। পরিবেশ আদালত সেই হিসেবকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই সব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে দ্রুত পদক্ষেপ করবে রাজ্য। শুক্রবারের বৈঠকে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
জাতীয় পরিবেশ আদালত কলকাতা শহরের যান দূষণ কমাতে বেশ কয়েকটি নির্দেশ আগেই দিয়েছিল। আদালতের মতে, কলকাতায় দূষণের প্রধান কারণ হল যানবাহন থেকে অনর্গল বেরোনো ধোঁয়া। মূলত, যানজটের কারণেই তা হচ্ছে। কিছু রাস্তা বড় হলেও দু’পাশ জুড়ে গাড়ি দাঁডিয়ে থাকায় রাস্তার পরিসর কমে যায়। যা সুষ্ঠু ভাবে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়। আবার কিছু রাস্তা ছোট হওয়ায় গাড়ি গতি পায় না। ব্যস্ত, জনবহুল বাণিজ্যিক এলাকায় পার্কিং লট থাকায় সেখানেও গাড়ির দূষণ ছড়াচ্ছে।
উপায় হিসেবে পরিবেশ আদালত বলেছে, পরিবেশবান্ধব অনেক প্রযুক্তি এখন উন্নততর দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। পার্কিং থেকে ট্র্যাফিক পরিচালনার কাজে তা ব্যবহার করতে বলা হলেও রাজ্য করেনি। তাই জরিমানার পরিমাণ বেড়েছে।
নবান্নের বৈঠকে তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতার রাস্তায় জমে থাকা জঞ্জালে আগুন লাগানো হলেই কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জমতে দেওয়া যাবে না জঞ্জালও। কলকাতার পুরসভায় জঞ্জাল বহনের কাজে ১৫ বছরেরও বেশি পুরনো গাড়ির ব্যবহারও বন্ধ করতে হবে।