জুনকে অবিলম্বে ফোন করে ক্ষমা চাইবেন শ্রীকান্ত, নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। —ফাইল চিত্র।
দলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতাদের নিয়ে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য আগেই ভুল স্বীকার করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। তাতেও বরফ গলল না। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ নির্দেশ, বিধায়ক জুন মালিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মন্ত্রী শ্রীকান্তকে।
সূত্রের খবর, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শ্রীকান্তের ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে কার্যত রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন বিধায়ক জুন মালিয়াকে ফোন করে ক্ষমা চাইতে হবে শ্রীকান্তকে। মমতা শ্রীকান্তকে বলেন, ‘‘এমন ভাবে ক্ষমা চাইবে যেন জুন আমায় ফোন করে বলে যে, হ্যাঁ, তুমি ক্ষমা চেয়েছ।’’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য করেছেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি শ্রীকান্তের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেখানে শ্রীকান্ত দলের তারকা নেতাদের প্রতি বিষোদ্গার করেন। তিনি অভিযোগ করেন, উমা সোরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরত, নেপাল সিংহ, সন্দীপ সিংহ এবং উত্তরা সিংহের মতো নেতা-নেত্রীরা ‘লুটেপুটে খাচ্ছেন’। এ সত্ত্বেও তাঁদেরকে দল ‘সম্পদ’ বলে মনে করছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে। মন্ত্রীর বক্তব্যে স্বাভাবিক ভাবে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল। দলের তরফে ইতিমধ্যে শো-কজ করেছে দল। তবে এ বার সরাসরি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে মমতা শুধু জুনের নাম করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন শ্রীকান্তকে। সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতের কাছে কেন নয়? এক তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা, শ্রীকান্তের মতো জুনও বিধানসভার সদস্য। তা ছাড়া, দু’জনেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জনপ্রতিনিধি। তাই তাঁদের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শ্রীকান্তও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ করবেন বলেছেন।
কিন্তু কী কারণে শ্রীকান্ত এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। ওই বিতর্কিত ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্বের কড়া পদক্ষেপে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন শ্রীকান্ত। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে যাবতীয় বিতর্কের অবসান চান তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ভুল করেছি। দলের কাছে ভুল স্বীকার করেছি। আবেগবশত আমি ভুল বলেছিলাম।’’