গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আদালতের নির্দেশ মেনে ছটপুজোর আবদেন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কাল, শুক্রবার (২০ নভেম্বর) এবং পরশু, অর্থাৎ শনিবার দিন ছটপুজো। আজ, বৃহস্পতিবার মমতা ভিডিয়ো প্রকাশ করে ভক্তদের বলেন, “আদালতের নির্দেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। ছোট ছোট দলে দূরত্ববিধি মেনে ছটপুজোয় আপনারা অংশ নিন। সরকার এবং পুলিশ-প্রশাসন পাশে রয়েছে।” আদালতের নির্দেশ মানার বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত দু’বছর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সুভাষ এবং রবীন্দ্র সরবরে ছটপুজো নিয়ে বিতর্ক হয়। আদালতের নির্দেশ আমান্য করে কী ভাবে সেখানে ছটপুজো হল, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। এ বছর পরিস্থিতি অন্য রকম। করোনার কারণে দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোতেও আদালতের নির্দেশ মানতে হয়েছে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দর্শকদের। প্রত্যাশিতভাবেই এ বারও সুভাষ এবং রবীন্দ্র সরবরে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবেশ আদালত। এদিন দুপুরে হাইকোর্ট এবং পরিবেশ আদালতের রায়ই বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেএমডিএ-র আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এ বছর অনেক উৎসব ঠিক মতো করতে পারেনি আমরা। কালীপুজোয় বাজি ফাটেনি। ছটপুজোর সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। আদালতের নির্দেশ আমাদের মানতেই হবে। আবার করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেটাও দেখতে হবে।”
আরও পডুন: হোম আইসোলেশনে সলমন! করোনা কাবু করল ‘দবং’ অভিনেতাকে?
গত বছরের তুলনায় এ বার আরও বেশি সংখ্যায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা এবং প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দেড় হাজার কৃত্রিম জলাশয় বা পুকুর তৈরি করা হয়েছে।”
আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ এবং পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। সুভাষ এবং রবীন্দ্র সরবরে যাতে আদালতের নির্দেশ অমান্য না হয়ে, সে দিকেও নজর রয়েছে পুলিশের।
আরও পডুন:বিহারে কংগ্রেস প্রচার করতে দেয়নি, অধীরকে তোপ সিব্বল শিবিরের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ঘরে পুজো করতে চান, তাঁরা ঘরেই করুন। আবার যাঁরা বাইরে বেরিয়ে পুজোর আচার পালন করতে চাইছেন, তাঁরা নিয়ম মেনে পুজোর আচার-অনুষ্ঠান করবেন। আগামীকাল এবং পরশু ছুটিও দেওয়া হয়েছে।”