প্রতীকী ছবি।
এক যুবককে ঘিরে রয়েছেন জনা চারেক রোগীর পরিজন। মেডিক্যাল ছাত্রদের হস্টেল সংলগ্ন মাঠে সেই জটলার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁদের কথাবার্তা শুনে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। ওই যুবককে চেপে ধরতেই ফাঁস হয়ে যায় এসএসকেএমের প্রতারণা-চক্র।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে এসএসকেএমের বহির্বিভাগে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৫ লক্ষ। ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ ১০ হাজার ৭০৭। এই বিপুল ভিড়ে শয্যা পেতে প্রায়ই হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। সেই সব রোগীর পরিজনদের অসহায়তার সুযোগ নিতেই এসএসকেএম চত্বরে জাল বিছিয়েছে প্রতারকেরা। ভবানীপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় শনিবার তেমনই এক প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পেল একটি পরিবার।
দ্রুত শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গত ২৮ ডিসেম্বর এক রোগীর পরিজনের কাছ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল এক যুবক। ওই রোগীর পরিবার ভবানীপুর থানায় বিষয়টি জানালে প্রতারকদের ধরতে সক্রিয় হন তদন্তকারীরা। সেই ঘটনার ফুটেজ তদন্তকারীদের মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীরা হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। এ দিন মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসা এক রোগীর পরিজনকে দ্রুত যাবতীয় পরীক্ষার রিপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেয় এক প্রতারক। এ কাজের জন্য সাত হাজার টাকা চেয়েছিল সে। তখনই অভিযুক্ত যুবক সুমন স্বর্ণকারকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃত সুমন ঘোলা থানার আগরপাড়ার বাসিন্দা। আগের ঘটনায় সে-ই টাকা নিয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, এ ধরনের প্রতারণা-চক্রকে ধরতে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশকর্মীরা সব সময়ে সক্রিয় থাকেন। সেই তৎপরতার জন্যই সুমনকে ধরা সম্ভব হয়েছে।