—নিজস্ব চিত্র।
আত্মহত্যা করেছেন পর্ণশ্রীর মা-মেয়ে। তদন্তের পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ। ঘরে মিলছে একটি কেরোসিনের টিন। তার মধ্যে খুব অল্প পরিমাণে কেরোসিন। বাড়ির বাকি বাসিন্দাদের বয়ান এবং অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের জোরালো ধারণা, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও নিশ্চিত ভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে পর্ণশ্রী থানা এলাকার দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় রোডে একটি দোতলা বাড়ির উপরের তলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও পৌঁছন ঘটনাস্থলে। আগুন লাগার পর বাড়ির নীচের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় হীরক ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী মৌসুমীকে। তাঁরা দু’জনেই অক্ষত ছিলেন। পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরা দোতলায় গিয়ে একটি বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন ৬৮ বছরের সোমা মিত্র এবং তাঁর মেয়ে ৪৪ বছরের কাকলির অগ্নিদগ্ধ দেহ।
তদন্তে জানা যায়, সোমাদেবীর বোনের ছেলে হীরক। বোন ছবি দোতলায় থাকেন। কিন্তু এ দিন ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত বছর সোমার ছেলে ব্লাড ক্যানসারে মারা যান। তখন থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কাকলিও অবিবাহিত। তিনিও শারীরিক ভাবে পুরো সুস্থ নন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: চিনা সেনার মহড়ার মাঝেই দক্ষিণ চিন সাগরে রওনা মার্কিন রণতরীর
আরও পড়ুন: খুন করে, দেহ নিয়ে দিনভর শহরের রাস্তায় ঘুরলেন ক্যাব চালক
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। সেটাই সবচেয়ে বড় সন্দেহের জায়গা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল শর্ট সার্কিট। কিন্তু কোনও শর্ট সার্কিটের প্রমান পাওয়া যায়নি। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করা হয়েছে। এক দিকে বন্ধ দরজা অন্যদিকে কেরোসিনের টিন পাওয়া যাওয়া, এই দুই মিলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন আত্মহত্যা করেছেন মা-মেয়ে। তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা।