প্রতীকী ছবি
জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রোমোটারকে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিবার দুপুরে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের এই ঘটনায় রাজাবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে আশ্বস্ত করলে অবরোধ ওঠে। তবে রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
পুলিশ সূত্রের খবর, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে প্রোমোটিং ঘিরে গোলমাল চলছিল। অভিযোগ, একটি নির্মীয়মাণ পাঁচতলা আবাসনের দখল নিয়ে প্রোমোটার কাসিফ রাজার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ইস্তিয়াক আলমের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। অভিযোগ, এ দিন সকালে ইস্তিয়াক জনা পঞ্চাশেক লোক নিয়ে ওই আবাসনের নীচের একটি ফ্ল্যাট দখল করতে যান। সেই আবাসনেরই বাসিন্দা কাসিফ খবর পেয়ে থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ইস্তিয়াক ফের দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন। অভিযোগ, কাসিফ বেরোলে তাঁকে আক্রমণ করে ইস্তিয়াকের দলবল। কাসিফের স্ত্রী কাজল কওসরের অভিযোগ, “ইস্তিয়াকের দল আমার স্বামীকে রড দিয়ে মারধর করেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড চালিয়েছে। দেওর শেরিফ জিয়া বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।” আহত দুই ভাইকে স্থানীয়েরাই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত কাসিফের মা নাজমা খাতুনের দাবি, “যে ঠিকানা নিয়ে এই গোলমাল, আমার ছেলে সেখানে বছর সাতেক আগে প্রোমোটিং শুরু করেছে। ওই ঠিকানার মালিকানা কাসিফের নামে। এক সময়ে ইস্তিয়াক ওর সঙ্গে কাজ করত। কিন্তু ছেলের সঙ্গে কাজ করার পর থেকেই ইস্তিয়াক ফ্ল্যাট দখলের মতলব করে। এ জন্য কাসিফ ওর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর পরেই মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্তিয়াক। আমার ছেলেকে আগেও দু’বার আক্রমণ করেছে।”
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ দিন ইস্তিয়াককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রোমোটিং ব্যবসায় কাসিফের এক সময়ের অংশীদার ছিলেন ইস্তিয়াক। কাসিফ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই উভয়ের মধ্যে শত্রুতা বাড়তে থাকে। সেই পুরনো ঝামেলার সূত্র ধরেই এ দিনের গোলমাল। লালবাজারের এক কর্তা বলছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”