Belur Math

কলকাতার কড়চা: শতবর্ষের ভাব-ইতিহাস

মঠে গঙ্গার ধারে তিনটি মন্দিরের মধ্যে মায়ের মন্দিরই গঙ্গার দিকে মুখ করা, অন্যগুলির চেয়ে আলাদা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:২০
Share:

দাদা... জ্যান্ত দুর্গার পূজা দেখাব, তবে আমার নাম। তুমি জমি কিনে জ্যান্ত দুর্গা মাকে যে দিন বসিয়ে দেবে, সেই দিন আমি একবার হাঁপ ছাড়ব।” গুরুভাই স্বামী শিবানন্দকে আমেরিকা থেকে লিখছেন স্বামী বিবেকানন্দ। যাঁর জন্য আসন পাতার এত তোড়জোড়, বিবেকানন্দের সেই ‘জ্যান্ত দুর্গা’ সারদা দেবী। বাগবাজারে ‘মায়ের বাড়ি’তে ১৯২০-র ২১ জুলাই তাঁর ইহদেহের প্রয়াণ, দেহ সৎকারের জন্য নানা জন নানা স্থান নির্বাচিত করেছিলেন, কিন্তু সব বাতিল করে বেলুড় মঠে স্বামীজীর মন্দিরের উত্তরে গঙ্গার ঢালু পাড়ে স্থান নির্বাচন করে স্বামী শিবানন্দ বলেছিলেন, “শ্রীশ্রীমা শান্তিতে গঙ্গার দিকে চেয়ে থেকে সকলকে চিরশান্তি দান করবেন।” ১৯২১-এর ২১ ডিসেম্বর সেই স্থানে প্রতিষ্ঠিত হল মায়ের মন্দির। তৈরির ভার বর্তেছিল স্বামী সারদানন্দের উপর, তত্ত্বাবধায়ক স্বামী শঙ্করানন্দ। মন্দিরের চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করেন স্বামী ব্রহ্মানন্দ।

Advertisement

গঙ্গাতীরে পূর্বমুখী মন্দিরটি সহজ-সরল, অনাড়ম্বর। সামনে ও পিছনে পাঁচটি করে সিঁড়ি, দালানের পূর্ব-পশ্চিমে তিনটি করে খিলান, উত্তর-দক্ষিণে চারটি করে। মন্দিরশীর্ষে কালো ঘটাকৃতি চূড়া, চারটি নীচে, সামান্য উঁচুতে মধ্যের মূল চূড়ার উপর বড় চূড়াঘট, পঞ্চরত্ন মন্দিরের ভাব ফুটে ওঠে। ঘটগুলি বিশেষ আকারের; প্রতি চূড়ায় যেন একটির উপর একটি ঘট বসানো, উপরের ঘটটির শীর্ষদেশ লম্বা হয়ে ঊর্ধ্বমুখী, অনেকটা গাছকৌটার মতো। গর্ভমন্দিরের ছবিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বামী সারদানন্দ। বেদিতে রক্ষিত মাতৃপদচিহ্ন, ডান দিকে শ্রীরামকৃষ্ণের একটি প্রাচীন ছবি, এখন প্রায় ধূসর। পটটি গোপালের মা পূজা করতেন, পরে ভগিনী নিবেদিতার কাছে ছিল, মন্দির প্রতিষ্ঠার পরে স্থাপিত হয়। বাম দিকে বাণেশ্বর শিব, গর্ভগৃহের সামনে পূর্বমুখী দরজার উপরে একটি কালো পাথরের অষ্টভুজা মহিষমর্দিনী দেবীমূর্তি।

মঠে গঙ্গার ধারে তিনটি মন্দিরের মধ্যে মায়ের মন্দিরই গঙ্গার দিকে মুখ করা, অন্যগুলির চেয়ে আলাদা। সারদা দেবী গঙ্গাস্নান করতে, গঙ্গাদর্শন করতে ও গঙ্গাতীরে থাকতে ভালবাসতেন, সে জন্যই বুঝি। উল্টো দিকে, গঙ্গার অন্য পাড়ে কাশীপুর মহাশ্মশান, শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধিস্থান। ভক্তজনের চোখে ধরা দেয় প্রতীকী তাৎপর্যও— শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা দেবীকে কলকাতার মানুষদের ‘দেখতে’ বলে গিয়েছিলেন, সে জন্যও কি তাঁর মন্দির পূর্ব অর্থাৎ কলকাতামুখী?

Advertisement

বেলুড় মঠে মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি আগামী ২১ ডিসেম্বর। ১৯২১-এ মন্দির প্রতিষ্ঠার বছরে উদ্বোধন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল আমন্ত্রণপত্র: ‘শ্রী শ্রী সারদা মন্দির প্রতিষ্ঠা ও জন্মতিথি পূজা’। একশো বছর পরে, এ বারও উদ্বোধন-এর পৌষ সংখ্যায় ধরা মন্দির গড়ে ওঠার নেপথ্যকাহিনি, স্মৃতিকথা, মন্দিরের বিবর্তনের চিত্রাবলি, ভাব-ইতিহাস। ছবিতে আনুমানিক ত্রিশের দশকে মন্দিরের উৎসবমুখর দৃশ্য, সম্পূর্ণ পোস্তা বাঁধাইয়ের আগে।

অমলিন

বালি যেমন ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের, তেমনি চণ্ডীদাস মালেরও (১৯২৯-২০২১) (ছবিতে)। চণ্ডীদাস মাল মানেই ‘এইচএমভি শারদ অর্ঘ্য’-র মলাটের পরের পাতা, আগমনী থেকে বিজয়ার অমলিন অর্ঘ্য। তিন দশকেরও বেশি সময় গানের শাগরেদি করেছেন কালীপদ পাঠকের, যাঁর গুণমুগ্ধ-তালিকায় ছিলেন স্বয়ং আচার্য শৈলজারঞ্জনও। প্রচারবিমুখ চণ্ডীবাবু ছাত্র গড়েছেন বহু, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন রায়দের সঙ্গী এখন সেই স্মৃতি। পুরাতন বাংলা গানের ঋদ্ধ গৌরব থেকে বিচ্যুত হননি, পরিবেশন ছিল নমিত, শুদ্ধতা নিয়ে কদাপি প্রশ্ন ওঠেনি। রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমিতে ওঁর গাওয়া একশো পুরাতনীর আর্কাইভই প্রমাণ। রবীন্দ্রভারতী, ইন্দিরা সঙ্গীত শিক্ষায়তন, বেঙ্গল মিউজ়িক কলেজ বিষণ্ণ, মনখারাপ বাংলা গানবিশ্বেরও, গত ৮ ডিসেম্বর শিল্পীর প্রয়াণে।

মাস্টারমশাই

বাবার হাত ধরে মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুরকে চেনা, রবীন্দ্রনাথকেও। আর এই দুই-ই ছিল তাঁর নিজেরও জীবনমন্ত্র। গত ২ ডিসেম্বর চলে গেলেন মিত্র স্কুলের প্রবাদপ্রতিম বাংলা শিক্ষক রণেশচন্দ্র রায়চৌধুরী। প্রাক্তন সহকারী হেডমাস্টার নীতিন রায়চৌধুরী ও হেডমাস্টার কেশবচন্দ্র নাগের কাছে শিক্ষা, এই স্কুলেই পরে তিন দশক শিক্ষকতা করেছেন নিজে। পাটভাঙা ধুতি-গিলে করা পাঞ্জাবি পরা নিখাদ বাঙালি, পরিশীলিত আড্ডাপ্রিয়; রাজনীতি অর্থনীতি সমাজ নিয়ে তীক্ষ্ণ মন্তব্য করতেন, কখনও হারমোনিয়ামে রবীন্দ্রনাথের গানও গাইতেন একদা শৈলজারঞ্জন মজুমদারের এই ছাত্র। আজ, শনিবার বিকেল ৫টায় প্রাক্তনী গোষ্ঠী ‘আমরা সবাই মিত্র ১৯৮১’-র উদ্যোগে ছাত্রদরদি মাস্টারমশাই রণেশচন্দ্র রায়চৌধুরীর স্মরণসভা, আন্তর্জালে।

ছবির যাত্রা

আশির দশকে বাংলাদেশে বিকল্প রীতির চলচ্চিত্রধারার অন্যতম পথিকৃৎ তানভীর মোকাম্মেল। তাঁর প্রামাণ্যচিত্র ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম তথা স্বাধীনতা লাভের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, প্রায় এক দশক ধরে ঘুরে সংগৃহীত উপাত্ত দিয়ে তৈরি। প্রথম ছবি হুলিয়া থেকে শুরু করে সাম্প্রতিকতম রূপসা নদীর বাঁকে, মধ্যবর্তী যাত্রায় স্মৃতি একাত্তর, নিঃসঙ্গ সারথি: তাজউদ্দীন আহমেদ, স্বপ্নভূমি বা চিত্রা নদীর পারে, নদীর নাম মধুমতী, রাবেয়া, জীবনঢুলি-র মতো ছবিতেও নিহিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গত ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের পঞ্চাশ পূর্তির দিনে নিজের ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললেন তিনি, চলচ্চিত্রবেত্তা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ‘কলকাতা পার্টিশন মিউজ়িয়াম ট্রাস্ট’-এর উদ্যোগে এ আলাপচারিতা শোনা যাচ্ছে কলকাতা পার্টিশন মিউজ়িয়াম-এর ফেসবুক পেজে।

অর্ধশতক ধরে

১৯৭২-এ ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুল প্রাঙ্গণের একটি ঘরে পথ চলা শুরু। পরে অধ্যক্ষের থাকার জায়গা ‘শাহ মঞ্জিল’ই ঠিকানা হল ‘বেহালা দৃষ্টিহীন শিল্পনিকেতন’-এর। দৃষ্টিহীনদের কল্যাণে মগ্নপ্রাণ, বাংলা ও বিহারের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাযুক্তদের জন্য ‘শাহ ব্রেইল’ শিক্ষাপদ্ধতির প্রবর্তক লালবিহারী শাহের নামে এই বাড়ি, ১ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিনেই আনুষ্ঠানিক আরম্ভ এই শিল্পগৃহের। দৃষ্টিহীনদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রশিক্ষণ: ধূপকাঠি, বেতের মোড়া, মোমবাতি তৈরি, বই বাঁধাই, পরে আশির দশকে চালু পিসিও বুথ, দুধ বিপণন কেন্দ্র। বেহালা থানার তৎকালীন পুলিশ আধিকারিক অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়-সহ এলাকার বিশিষ্টজন জড়িয়ে ছিলেন যে মহতী উদ্যোগে, সেই শিল্পনিকেতনের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হল ডিসেম্বরের প্রথম দিনটিতে। বছরভর চলবে নানা কর্মসূচি, পরিকল্পনা রয়েছে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধাদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার।

উৎসবের নাটক

করোনাকালেও ছেদহীন ও ধারাবাহিক— কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্র-র ২৭তম নাট্যোৎসব শুরু হচ্ছে আজ, চলবে ২৭ ডিসেম্বর অবধি। দশ দিনের এই নাট্যোৎসব স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের স্মৃতিতে উৎসর্গীকৃত। অশোক মুখোপাধ্যায় লকডাউনের নিভৃতিতে অনুবাদ করেছেন হ্যামলেট, ২০ তারিখ সন্ধ্যায় পাঠ-অভিনয় করবেন নিজেই। সায়ক, ঊষ্ণিক, রঙরূপ, সংস্তব, রঙ্গপট, নান্দীপট, মুখোমুখি, রঙ্গলোক, প্রাচ্য... বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠীর বিশিষ্ট প্রযোজনাগুলির সঙ্গে আছে কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্র-র নতুন নাটক, রতনকুমার দাস রচিত মহালয়া। ২৬ ডিসেম্বরে দু’টি অভিনয়, নির্দেশনার পাশাপাশি অভিনয়েও দলের কর্ণধার কিশোর সেনগুপ্ত,
সঙ্গে সুপর্ণা দাস। ২৭ সন্ধ্যায় নান্দীকার-এর উপস্থাপনায় রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে কথোপকথন ও পাঠে সোহিনী সেনগুপ্ত। কোভিডবিধি মেনেই আয়োজিত এই নাট্যোৎসব।

ক্যালেন্ডারে ওরা

নারায়ণ দেবনাথ মানে কি শুধুই নন্টে-ফন্টে, হাঁদা-ভোঁদা, বাঁটুল? ছয় দশকেরও বেশি সময় দেড় হাজারেরও বেশি কমিক্স সৃষ্টি করেছেন তিনি। অলঙ্করণ শিল্পী ছিলেন তার আগে থেকেই, সমকালীন বিখ্যাত সাহিত্যিকদের লেখার অলঙ্করণ করেছেন। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত, নবতিপর শিল্পীর কৃতি উঠে এসেছে নতুন বছরের ‘পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথ ক্যালেন্ডার ২০২২’-এ, অগ্নিভ চক্রবর্তীর পরিকল্পনায়। পাতায় পাতায় বাঙালির জনপ্রিয় কার্টুন-চরিত্র, শিল্পীর স্বল্প-আলোচিত কাজও। আছে গোয়েন্দা কৌশিক, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু, পটলচাঁদ দি ম্যাজিশিয়ান, শুঁটকি আর মুটকি, বাহাদুর বেড়াল ও বুদ্ধিমান কুকুর; শিল্পীর করা একাধিক পূজাবার্ষিকীর প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ, কার্টুন স্ট্রিপ, বিখ্যাত সাহিত্যিকদের গল্পের নামাঙ্কন, স্বপনকুমারের সৃষ্টি গোয়েন্দা দীপক ও রতনলালের রহস্যগল্প সিরিজ়ের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ— স্মৃতিমেদুরতার আনন্দ। বিশেষ আকর্ষণ শিল্পীর করা ৩টি ‘অরিজিন্যাল’ আর্টওয়ার্ক। ক্যালেন্ডারের খোঁজে দক্ষিণ কলকাতার রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর-এ নারায়ণ দেবনাথ-অনুরাগীদের ভিড় হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ছবিতে ’৬৫-র ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত বাঁটুল দি গ্রেট কার্টুনের অংশ, ক্যালেন্ডার থেকে।

সরাচিত্র

নন্দলাল বসু, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় এবং রামকিঙ্কর বেইজের ছাত্র, শিল্পী কে জি সুব্রহ্মণ্যন শান্তিনিকেতনে অজস্র সরা এঁকেছেন। সরা এঁকেছেন শিল্পী যোগেন চৌধুরীও। ২০১৭-তে পুজোর কলকাতায় সরাচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল ‘দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস’। এমন প্রদর্শনী শহরে এর আগে কখনও হয়নি— গণেশ হালুই, সনৎ কর, লালুপ্রসাদ সাউ, রবীন মণ্ডলরা তাঁদের শিল্পীজীবনে সেই প্রথম সরা আঁকেন। সেই শুরু। দেবভাষা-র সরাচিত্র প্রদর্শনী পড়ল পঞ্চম বছরে, এ বারের প্রদর্শনী শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্মৃতিতে নিবেদিত— ডিসেম্বর তাঁর জন্মমাস, তাই। কে জি সুব্রহ্মণ্যন, সনৎ কর, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, গণেশ হালুই, যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন, হিরণ মিত্র, প্রদীপ রক্ষিত, সুশোভন অধিকারী, ছত্রপতি দত্ত, বিমল কুণ্ডু-সহ ষোলো জন শিল্পীর সরাচিত্রকৃতিতে সেজেছে প্রদর্শনী। চলবে ২০ ডিসেম্বর অবধি, দুপুর ৩টে থেকে রাত সাড়ে ৮টা। ছবিতে শিল্পী অলয় ঘোষালের আঁকা সরাচিত্র।

নবান্ন

নতুন ধানের চালের সঙ্গে গুড়, দুধ, ফল। এই নিয়ে ‘নবান্ন’। ভাল ফলনের জন্য এই সব উপাদানে প্রকৃতি ও পূর্বপুরুষদের কৃতজ্ঞতা জানানোর এই প্রথা বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পালিত আবহমান কাল থেকে। প্রাচীনতার গায়ে পড়েছে দেশাচার ও পারিবারিক রীতির প্রলেপ— নবান্নে তাই কোথাও হয় অন্নপূর্ণা পূজা, লক্ষ্মীর উদ্দেশে কোথাও নিবেদিত হয় নয় রকম ফল। পঞ্জিকায় দিন-তিথি নির্দিষ্ট থাকে না এ উৎসবের। নতুন ধান ঘরে তোলার পর, বাড়ির মেয়েরা নিজেদের সুবিধেমতো দিন দেখে আয়োজন করেন নবান্নের। শহরের ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে মানানসই এই ছাড়টুকু। সেই সুবিধেটুকু আঁকড়ে, ফ্ল্যাটবাড়ির গণ্ডির মধ্যেও ফেলে আসা গ্রামজীবনের শিকড় ছুঁয়ে থাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement