সেই সিসিটিভি ফুটেজ। নিজস্ব চিত্র।
কসবায় ব্যবসায়ী অপহরণ-কাণ্ডে প্রকাশ্যে এল সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা যাচ্ছে, কসবার শান্তিপল্লি এলাকার একটি শপিং মলের কাছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি একটি গাড়িতে জোর করে তুলছেন কুতুবুদ্দিন গাজি নামে ওই ব্যবসায়ীকে। ওই গাড়ির সামনে দেখা যায় ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অপহরণকারীদের দলটিকে পাকড়াও করেছে। তবে পুলিশের ধারণা, আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে এই ঘটনায়। আপাতত পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে কসবা থানার পুলিশ। তবে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে কী ভাবে ঘুরে বেড়ালেন অভিযুক্তরা, তারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে কলকাতার রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয় বসিরহাটের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কুতুবুদ্দিনকে। এর পর ৩৭ বছরের ওই ইট ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে পরিবারের লোককে বলা হয় ৪০ লক্ষ টাকা দিলে ছাড়া পাবেন ব্যবসায়ী। যদিও পুলিশের কাছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ অপহৃত ব্যবসায়ীর এক আত্মীয় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাক্রমে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা ও কসবা থানার পুলিশ। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার মুরলীধর শর্মা। পরে টালিগঞ্জ এলাকা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। মোট দু’টি গাড়ি আটক করে তারা।
কসবা থানার পুলিশ জানিয়েছে, কুতুবুদ্দিনের বন্ধু এবং ব্যবসার অংশীদার রেহান আহমেদ কুরেশি অপহরণের অভিযোগ জানাতে আসেন বুধবার রাত ৮টা নাগাদ। যদিও ঘটনাটি ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ঘটেছে বলে জানান তিনি। পরে পুলিশের নাম করে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন করে মোটা টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় বলে দাবি করেন তাঁর আত্মীয়। এর পরই পুলিশকে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওই ব্যবসায়ীর পরিবার। আপাতত ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে অপহরণ করা হয় ব্যবসায়ীকে।