প্রতীকী ছবি।
গাড়ির ভিতরে বসে ছিলেন সদ্য রেডিয়েশন নিয়ে আসা এক ক্যানসার রোগী। তা সত্ত্বেও সেই গাড়ির চাকায় কাঁটা লাগিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছিল পুলিশ। এমনই অভিযোগ করেছে ওই রোগীর পরিবার। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে। অনেক কাকুতিমিনতির পরে ঘণ্টা চারেক বাদে পুলিশ ওই গাড়িটি ছাড়ে বলে রোগীর পরিবারের দাবি।
কী ঘটেছিল? বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা, শান্তিপদ দাস নামে বছর পঁয়ষট্টির এক ক্যানসার রোগীকে রেডিয়েশন দেওয়ানোর জন্য বাড়ির গাড়িতে করেই নিয়ে এসেছিলেন তাঁর জামাই লাল্টু দাস। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই আত্মীয়। শান্তিপদবাবুর মুখে ক্যানসার হয়েছে। খেতে পারেন না। কথাও সে ভাবে বলতে পারেন না। লাল্টু জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁরা এসএসকেএমে পৌঁছন। রেডিয়েশন শেষ হওয়ার পরে বেরোনোর সময়ে শান্তিপদবাবুকে গাড়িতে তুলে লাল্টু ওষুধ কিনতে যান। ফিরে এসে দেখেন, পুলিশ গাড়ির চাকায় কাঁটা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
শান্তিপদবাবুর পরিবারের বক্তব্য, এমনিতেই ক্যানসারের কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ। তার উপরে সবে রেডিয়েশন নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। পুলিশকে সে কথা জানানো হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। উল্টে তাঁদের পুলিশ জানায়, ওই জায়গায় গাড়ি রাখা যায় না। তাই কাঁটা লাগানো হয়েছে। টাকা দিয়ে কাগজপত্র জমা দিলে তবে যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু এমন অবস্থার এক জন রোগীর তো তাতে চূড়ান্ত হয়রানি হবে? শেষে বহু অনুরোধ এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করায় পুলিশ গাড়ি ছাড়ে।
আরও পডুন: ট্রেন বাড়লেও সময় বাড়ছে না মেট্রোয়
পরে লাল্টু দাবি করেন, এর আগে ১০-১২ বার এসেছেন রেডিয়েশনের জন্য। প্রতি বার একই জায়গায় গাড়ি রেখেছেন। কোনও অসুবিধা হয়নি। তার জন্য অবশ্য ১০০ টাকা করে দিতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় ভবানীপুর থানার তরফে জানানো হয়েছে, এসএসকেএমের ভিতরে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখা যায় না। সেই কারণেই কাঁটা লাগানো হয়েছিল। কাঁটা লাগানোর সময়ে গাড়ির ভিতরে কেউ ছিলেন না বলেও দাবি করেছে পুলিশ।