MR Bangur Hospital

Cancer Patient: ক্যানসারে আক্রান্ত কোভিড রোগীকে বাঁচাল হাসপাতাল

ওই প্রৌঢ় যে ক্যানসারে আক্রান্ত, তাতে হরমোন নিঃসরণ হওয়ায় তাঁর শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ক্যানসারে আক্রান্ত দু’টি ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছিল সংক্রমণ। করোনায় আক্রান্ত বছর ৬৫-র প্রৌঢ়কে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন পরিজনেরা। অসংলগ্ন আচরণ করা রোগীকে নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন চিকিৎসকেরাও।

Advertisement

এম আর বাঙুর হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে টানা পাঁচ দিন লড়াইয়ের পরে ৩০ জানুয়ারি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বরাহনগরের বাসিন্দা, তাপস বসাক নামে ওই প্রৌঢ়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের ক্যানসারের চূড়ান্ত পর্যায়ে ওই রোগীর করোনা ধরা পড়ে। অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নীচে নেমে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করান পরিজনেরা। পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রৌঢ়ের ফুসফুসে ও প্রস্রাবে ব্যাক্টিরিয়াজনিত সংক্রমণ হয়েছে। তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। হাই-ফ্লো নেজ়াল ক্যানুলার মাধ্যমে মিনিটে ৬০ লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল। সিসিইউ-এর এক চিকিৎসকের কথায়, “তাপসবাবু যে ওষুধ খেতেন, সেটির কারণে হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ কম থাকে। ওই ওষুধটি বন্ধ করার উপায় ছিল না। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও ছিল কম। তার উপরে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া। পুরো বিষয়টি খুব ঝুঁকির ছিল।’’

ওই প্রৌঢ় যে ক্যানসারে আক্রান্ত, তাতে হরমোন নিঃসরণ হওয়ায় তাঁর শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, প্রতিষেধক নেওয়া ছিল না তাপসবাবুর। ভর্তির তিন দিন পর থেকে তাঁর অবস্থার উন্নতি হতে থাকলে রাইলস টিউব খুলে নেওয়া হয়। ২৮ জানুয়ারি অক্সিজেন বন্ধ করে এক দিন পর্যবেক্ষণ করে ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর বলেন, “করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে এই ধরনের সাফল্য সব স্তরের কর্মীকে নতুন উদ্যমে কাজ করতে আরও সাহস জোগাচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement