R G Kar Hospital Incident

ঘটনাস্থলে ছিলেনই না, তবু আরজি কর ভাঙচুরে ধৃত তরুণী! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের

১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় রুমা দাস নামে তরুণীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তরুণীর পরিবার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় এক তরুণীকে গ্রেফতারের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশ, কেন ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যকে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

১৪ অগস্ট রাতে হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় রুমা দাস নামে তরুণীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তরুণীর পরিবার। তাদের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আসল অপরাধীদের আড়াল করতে অনেক নিরীহ লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, ওই দিন ঘটনাস্থলেই যাননি তরুণী। সিসিটিভিতে তাঁর ছবি দেখা যায়নি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ, ১৫ অগস্ট ভোরবেলা টালা সেতুর উপর থেকে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ওই তরুণীর পরিবার। তাঁর মুক্তি চেয়ে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি নেন মহিলারা। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হয়েছিলেন বহু মহিলা। তাতে যোগ দেন পুরুষেরাও। আপাত শান্তিপূর্ণ ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আচমকাই ছন্দপতন ঘটে। একটি মিছিল থেকে একদল দুষ্কৃতী জোর করে আরজি করে ঢুকে পড়ে। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা বারবার বাধা দিলেও ওই জনতাকে তাঁরা আটকাতে সক্ষম হননি। হাসপাতালের একাংশে চলে ভাঙচুর। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আরজি করের চিকিৎসকদের প্রতিবাদমঞ্চ। পুলিশকে কার্যত অসহায় দেখায় ঘটনাস্থলে। পরে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত জানান, এত সংখ্যক মানুষ ওই ভাবে জড়ো হবেন এবং আক্রমণ চালাতে পারেন হাসপাতালে, সেটা তাঁরা ভাবতেই পারেননি। নিজেদের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নেন তিনি। এই ঘটনায় প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজার।

Advertisement

ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement