গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় অনুসন্ধান কমিটি ভেঙে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ
গ্ৰুপ-ডি মামলায় বড় রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের তৈরি করা কমিটি ভেঙে দিল কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ।আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার আদালত জানায়, ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার দিয়ে গ্রুপ ডি মামলায় তদন্ত হবে।
গ্ৰুপ-ডি মামলায় বড় রায় কলকাতা হাই কোর্টের। ডিভিশন বেঞ্চের তৈরি করা কমিটি ভেঙে দিল কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ। সেই সঙ্গে আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার আদালত জানায়, ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার দিয়ে গ্রুপ ডি মামলায় তদন্ত হবে।
সোমবার গ্রুপ ডি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে এই মামলার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। স্পষ্টতই আদালত জানায় তদন্ত কমিটির কাজে তারা সন্তুষ্ট নয়। এর পর
আগামিকাল, বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্ত কমিটির চেয়ারপার্সনের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সে সময় সিবিআই ছাড়া ওই অফিসে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই বল নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি, মামলাকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন তাঁরা।
এদিকে রাজ্যের তরফে সিবিআই তদন্ত খারিজের দাবি জানিয়ে নতুন বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথা বলা হয়। আদালতে এজি বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ না মানার জন্য আমি দুঃখিত। তবে সিবিআই নির্দেশের পুনর্বিবেচনা করুন।’’
তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘কোনও কথা শোনা হবে না। ওই কমিটি আদালতের নির্দেশ মানেনি।’’ মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, ‘‘এটা দেখে আমি আশ্চর্য, রাজ্য এতে কেন এগিয়ে আসছে!’’
উল্লেখ্য, মোট ৫৭৩ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল মামলায় রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ নিয়ে যে ‘দুর্নীতি’ হয়েছে তার অনুসন্ধানে আরও চার মাস সময় চেয়েছিল কমিটি। তাতেও সন্মতিও জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সোমবার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে গঠিত সেই কমিটি ভেঙে আবার সিবিআই দিয়ে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।