Kolkata Doctor Rape and Murder

পুজোর ভিড় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কী ভাবে? আরজি কর নিয়ে মিছিলে অনুমতি দিয়ে প্রশ্ন কলকাতা হাই কোর্টের

৪০টিরও বেশি সংগঠন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথে নামছে। ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের কয়েকটি সংগঠনও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১১
Share:

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মিছিলের অনুমতি হাই কোর্টের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার শহরে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। একাধিক সংগঠন একত্রে ওই মিছিলের ডাক দিয়েছে। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আয়োজকেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাবে। পুজোর ভিড় পুলিশ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে? শুনানি চলাকালীন রাজ্যের উদ্দেশে সে প্রশ্ন করেছে হাই কোর্ট।

Advertisement

৪০টিরও বেশি সংগঠন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথে নামছে। ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের কয়েকটি সংগঠনও। এ ছাড়া, যৌনকর্মী, রূপান্তরকামী, রিকশাচালক থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থকদের সংগঠনও ওই মিছিলে পা মেলাবে। এই মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণের সমস্যার কারণ দেখিয়ে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তার পর আয়োজকেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে।

আদালতে রাজ্য জানায়, মিছিলে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা স্পষ্ট করতে হবে আয়োজক সংগঠনগুলিকে। তা না হলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হবে। এর প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা আমাদের কত জন থাকবেন, সেই সংখ্যা বলতে পারি। কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি মিছিলে যোগ দেন, সেই সংখ্যা আগে থেকে কী ভাবে বলব?’’ এর পরেই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘যদি এই মিছিলে ১০ লক্ষ সাধারণ নাগরিক শান্তিপূর্ণ ভাবে যোগ দেন, তাঁদের আটকানো সম্ভব কি? প্রতিবাদ জানানো তো তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার। রাজ্য কি ট্র্যাফিকের কারণ দেখিয়ে সেই অধিকার খর্ব করতে পারে?’’

Advertisement

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নাগরিকদের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাদের রয়েছে। এর পরেই ১৪৪ ধারার প্রসঙ্গ ওঠে। ধর্মতলা চত্বরে ওই ধারা জারি করা নিয়ে বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে দিন, তা হলে আর কোথাও মিটিং বা মিছিল হবে না। দুর্গাপুজোয় পুলিশের ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও তিনি তুলে আনেন। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘যাঁরা দুর্গাপুজো করেন, তাঁরা কি জানেন কত দর্শক আসবেন? পুজোর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামেন। বছরের পর বছর ধরে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে সবটা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

তবে মঙ্গলবারের মিছিলে আয়োজকদের পর্যাপ্ত সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যাতে মিছিল নিয়ন্ত্রণে কোনও সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement