Calcutta High Court

জলাজমি ভরাট করে তেতলা বাড়ি, ভাঙার ব্যবস্থা জানতে চায় কোর্ট 

আদালতের খবর, জগৎপোতা-নয়াবাদ এলাকায় একটি তেতলা বাড়ি বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, বছর আটেক আগে জমির মালিককে ‘ভুল বুঝিয়ে’ চুক্তিপত্রে সই করানো হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৪
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

জলাজমি বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। নরেন্দ্রপুর থানার জগৎপোতা-নয়াবাদ এলাকার একটি বেআইনি নির্মাণের মামলায় বুধবার তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘কলকাতা শ্বাস নিতে পারছে না, আর আপনারা জলাজমি বুজিয়ে নির্মাণ করছেন?’’ এ দিন বিচারপতির নির্দেশ, ওই বিতর্কিত নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা রাজ্য জলাভূমি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে (ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি) জানাতে হবে। পাশাপাশি, ওই এলাকায় এমন বেআইনি নির্মাণ আর আছে কি না, তা-ও জলাভূমি কর্তৃপক্ষকে কোর্টে জানাতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণ হচ্ছে। এই ধরনের কাজ যাদের বন্ধ করার দায়িত্ব, তারা চোখ বুজে আছে।

Advertisement

আদালতের খবর, জগৎপোতা-নয়াবাদ এলাকায় একটি তেতলা বাড়ি বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, বছর আটেক আগে জমির মালিককে ‘ভুল বুঝিয়ে’ চুক্তিপত্রে সই করানো হয়েছিল। এর পরে ওই এলাকার এক বাসিন্দা হাই কোর্টে মামলা করেন। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট নির্মাণ নিয়ে পুরসভা, জলাভূমি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এর পরে আদালত জলাভূমি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে।

প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাস সংলগ্ন পূর্ব কলকাতা জলাভূমি পরিবেশগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাস কলকাতা গঠনের সময় থেকেই ওই জলাভূমি যেমন শহরের নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তেমনই প্রাকৃতিক ভাবে বর্জ্য পরিশোধন এবং সামগ্রিক জীববৈচিত্রের দিক থেকেও এর প্রভাব অনস্বীকার্য। এই জলাভূমির উপরে বহু মানুষের জীবিকাও নির্ভরশীল। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, বাইপাস সংলগ্ন হওয়ায় এই জলাভূমির উপরে নির্মাণ ব্যবসায়ীদের একাংশের নজর আছে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালীদের মদতে জলা বুজিয়ে নির্মাণ হয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় পরিবেশমন্ত্রী থাকার সময়ে এই জলাভূমির উপর দিয়ে উড়ালপুল তৈরির কথা বলেছিলেন। যদিও পরবর্তী কালে সেই পরিকল্পনা দিনের আলো দেখেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement