—প্রতীকী ছবি।
বিগত সাত বছর ধরে বাড়ানো হয়নি বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়া। তাই এ বার ভাড়া বৃদ্ধি-সহ তিন দাবিতে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনকে চিঠি লিখে দাবি জানাল ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’। গত সপ্তাহে মন্ত্রী ও সচিবকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করে তা নোটিফিকেশন দিয়ে জানাতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে। সঙ্গে রাজ্যের সব জেলায় যে ভাবে টোল ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তা নিয়েও নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন বাস মালিকরা। পাশাপাশি, অস্বাভাবিক হারে পুলিশ বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের উপর জরিমানা আরোপ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের হস্তক্ষেপে পুলিশি ‘জুলুম’ বন্ধ হোক বলেই দাবি করেছে বাস সিন্ডিকেট।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষ বার বাস, মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। গত সাত বছর কোনও স্তরেই ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ইতিমধ্যে অতিমারির কারণে প্রায় দু'বছর বাস, মিনিবাস চলাচল না করায় তার প্রভাব বেসরকারি পরিবহণে পড়েছে। এমতাবস্থায় জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, টোল প্লাজাগুলিতে টোল বৃদ্ধি এবং পুলিশি জরিমানার কারণে দিন প্রতিদিন চাপ বাড়ছে বেসরকারি বাসমালিকদের উপর। তাই অবিলম্বে পরিবহণ দফতর এই সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করে বেসরকারি বাস মালিকদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করুন। নতুবা রাজ্যের বেসরকারি পরিবহণ শিল্প পুরোপুরি ভেঙে পড়বে বলেই আশঙ্কা করেছেন বাসমালিকরা। সঙ্গে ডিজেলের উপর জিএসটি বসানোর কথাও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পরিবহণ দফতরের তরফে এখনও তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বলেই জানিয়েছেন বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেসরকারি বাস সংগঠনের এমন দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই দাবিপত্রে এমন অনেক কিছুর উল্লেখ রয়েছে, যা রাজ্য সরকারের হাতে নেই। পেট্রল, ডিজেলের মতো জ্বালানির দাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে তাতে জিএসটি বসানো হবে কি না— এই বিষয়গুলি নির্ভর করে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের ওপর। সঙ্গে টোল ট্যাক্সগুলির টোল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। তাই বেসরকারি বাস সংগঠন এই সমস্ত দাবিদাওয়াগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানালেই ভাল হয় বলেই মনে করছে পরিবহণ দফতরের কর্তারা। উল্লেখ্য, আগামী ১ অগস্ট থেকে ১৫ বছরের সময়সীমা অতিক্রম করে যাওয়া সরকারি বেসরকারি বাসগুলি কলকাতা মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) এলাকায় চালানো যাবে না। এমতাবস্থায় পরিবহণ শিল্পের ওপর চাপ বাড়লে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছে বাসমালিক সংগঠনগুলি।