ফাইল চিত্র।
পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দিদির বাড়িতে গা-ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত বাসচালক। এমনকি, নিজের মোবাইল ফোনও বন্ধ করে রেখেছিল। তবু শেষরক্ষা হল না। গত বৃহস্পতিবার রেড রোডে বাস দুর্ঘটনার পরে পলাতক ওই চালককে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কামারহাটির ষষ্ঠীতলা এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। ধৃতের নাম সৈয়দ ইবরার হোসেন (৩৫)। বাড়ি গার্ডেনরিচ এলাকায়। রবিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অতিমারি আবহে সরকারি বিধিনিষেধের জেরে দীর্ঘ দিন রাজ্যে বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত ১ জুলাই থেকে গণপরিবহণে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলে চলতে শুরু করে বাস। আর প্রথম দিনেই রেড রোডে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পরে যাত্রীদের একাংশ দাবি করেছিলেন, ওই মিনিবাসটির চালক মত্ত অবস্থায় ছিল। পাশাপাশি মিনিবাসের ব্রেকে কিছু সমস্যা ছিল বলেও দাবি করেন যাত্রীদের একাংশ। মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়ার দিকে যাওয়ার সময়ে মিনিবাসটির ব্রেক কাজ করছিল না বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। এর পরেই ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে প্রচণ্ড গতিতে থাকা মিনিবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাইককে ধাক্কা মেরে পাঁচিলে উঠে যায়। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কর্মী, বাইকচালক বিবেকানন্দ ডাবের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি আহত হন ১৯ জন।
এই ঘটনায় ওই বাসচালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পাশাপাশি চলছিল পলাতক বাসচালকের খোঁজে তল্লাশি। অবশেষে শনিবার রাত ১১টা নাগাদ কামারহাটি এলাকায় ওই চালকের দিদির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ দিকে ঘটনার দিনই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছিল ফরেন্সিক দল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা। এর পাশাপাশি বাসটির রক্ষণাবেক্ষণে কোনও ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনেকটাই স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে পুলিশ।