প্রতীকী ছবি।
হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও রাশ টানা যাচ্ছে না বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালিয়ে দুর্ঘটনায়। বৃহস্পতিবার রাতে তারাতলা রোডে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহী। আর তার পরেই শহরের রাস্তায় হেলমেটহীন মোটরবাইক এবং বেপরোয়া গতির বাসের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করেছেন।
লালবাজার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত শহরে বাসের ধাক্কায় মৃত্যুজনিত দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি (২৪ শতাংশ)। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে রাস্তা পারাপারের সময়ে। সেই কারণে রাস্তা পেরোনার সময়ে পথচারীদের যাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে না হয়, সে জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন বাসচালক এবং কন্ডাক্টরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে অভিযুক্ত বাসচালকদের বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, পথ দুর্ঘটনা, বিশেষত বাসের ধাক্কায় আহত হওয়া বা মৃত্যু ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ। একটি ট্র্যাফিক গার্ডের এক আধিকারিক জানান, রাস্তার যেখান-সেখান দিয়ে পার হওয়া বন্ধ করা তাঁদের লক্ষ্য। এর জন্য বাহিনীর কর্মীদের বলা হয়েছে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জায়গা গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য। সিগন্যাল সবুজ থাকাকালীন যাতে যে কোনও জায়গা দিয়ে যাতে কেউ রাস্তা পেরোতে না পারেন, তার জন্য দড়ির ব্যবহার করতেও বলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অনেক সময়েই দেখা যায়, দাঁড়িয়ে থাকা বাসের সামনে দিয়ে পথচারীরা রাস্তা পেরোচ্ছেন। বাসের বাঁ দিকে এবং সামনের বেশ কিছুটা অংশ যেখান দিয়ে পথচারীরা দ্রুত রাস্তা পার হয়ে যান, তা চালকের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। যা ‘ব্লাইন্ড স্পট’ হিসেবে পরিচিত। লালবাজারের পাঠানো এ দিনের বার্তায় পুলিশকর্তারা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের কন্ডাক্টরদের অবশ্যই দেখতে হবে বাসের সামনে দিয়ে কেউ পার হচ্ছেন কি না এবং তা জানাতে হবে চালককে। বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড সূত্রের খবর, লালবাজারের এই নির্দেশের পরেই তারা এই বিষয়ে বাসের কন্ডাক্টরদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছে। প্রয়োজনে তাঁদের নিয়ে ভবিষ্যতে কর্মশালাও করা হতে পারে।