বিমানের থেকে আলাদা করা হচ্ছে বাস। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র
সাত পাক হয়নি। তার বদলে মোক্ষম ধাক্কার গাঁটবন্ধন। ছ’দিনের সেই জখমি জোট ভেঙে গেল রবিবার। অবশেষে আলাদা করা হল বাস ও বিমানকে।
২২ ডিসেম্বর ভোরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানকে ধাক্কা মেরেছিল জেট এয়ারওয়েজের বাস। ক্ষতি হয়েছে দু’টি বাহনেরই। প্রবল আঘাতে যে-সম্পর্কের শুরু, সেটা অটুট থাকল পাঁচ-পাঁচটা দিন। এমন ভাবে তারা পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল যে, জোরজবরদস্তি করে ছাড়াতে গেলেই আরও ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। দু’টি যন্ত্রের এই অযান্ত্রিক সম্পর্কে ছেদ পড়ল রবিবার। দু’জনের কাউকে আর বিশেষ ব্যথা না-দিয়ে বেলুন-প্রযুক্তিতে ঘটানো হল বিচ্ছেদ। বিমানের ডানার তলায় এক ধরনের বেলুন লাগিয়ে বিমানকে একটু তুলে ধরে বাসটিকে বার করা হল।
বাসটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও বিমানটি এখনও ৩২ নম্বর বে-তেই পড়ে রয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। বিমানটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে, তাকে টেনে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই ঠিক হয়েছে, ওখানে দাঁড় করিয়েই সেটিকে সারানো হবে।
ওই দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা থেকে শিলচর ও শিলং রুটে উড়ান থমকে গিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া-কর্তৃপক্ষ এ দিন জানান, কলকাতা বিমানবন্দরে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা একটি এটিআর বিমানকে সারিয়ে শনিবার পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরে সেটি শিলচর ও শিলং রুটে যাতায়াত শুরু করবে। আজ, সোমবারেই সেই অনুমতি মিলবে বলে তাঁদের আশা। তাই ওই দুই রুটে সোমবারের উড়ান বাতিল করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
দমদমে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বাসের ধাক্কা