ফাইল চিত্র।
বাস ধরতে গিয়ে অন্য একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শুক্রবার সকালে, তারাতলা রোডের একটি বেকারির কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অসীমা হাতি (৫৫)। বাড়ি ডায়মন্ড হারবার রোডে। তিনি ‘ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’য় চাকরি করতেন। এ দিন অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ১২ নম্বর রুটের একটি বাস স্টপে এসে দাঁড়াতেই অসীমা তাতে উঠতে যান। সেই সময়ে ১২সি রুটের অন্য একটি বাস নিয়ম ভেঙে বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ১২ নম্বর রুটের বাসটিকে পাশ কাটিয়ে বেরোতে যায়। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি অসীমাকে ধাক্কা মারে। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনা ঘটানো বাসচালক অবশ্য পালিয়ে যায়।
পথ-নিরাপত্তা নিয়ে শহর জুড়ে মাঝেমধ্যেই প্রচার চলে। বাসের রেষারেষি বন্ধ করতে পুলিশ পদক্ষেপ করছে বলে দাবি করলেও শহর জুড়ে বেপরোয়া বাস ও গাড়ির দৌড় যেমন চলছে, তেমনই পথচারীরাও নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ। এ দিনের ঘটনাতেও ১২সি রুটের বাসটি বিধি ভেঙে বাঁ দিক দিয়ে অন্য বাসটিকে ওভারটেক করে যাত্রী তুলতে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন উঠেছে, এত প্রচার সত্ত্বেও কেন বাসের রেষারেষি বন্ধ করা যাচ্ছে না? কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক আইন ভাঙায় ১ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ ৬৯৭২টি গাড়িকে জরিমানা করেছে। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ঘটনায় ধরা পড়লে আমরা চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভবিষ্যতে সচেতনতা বাড়ানোর আরও চেষ্টা হবে এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’