এই বাড়িতেই খুন হন বৃদ্ধ বিশ্বজিৎ বসু। —ফাইল চিত্র
ব্রড স্ট্রিটে খুনের ঘটনার কিনারা হল না চার দিনেও। তবে গলার নলি কেটে যে কায়দায় বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে, তা পেশাদার খুনির কাজ নয় বলেই অনুমান পুলিশের। বছর পঁয়ষট্টির বিশ্বজিৎ ঘোষকে খুনের পিছনে পরিচিত কারও হাত রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে বিশ্বজিৎবাবুর ছোট মেয়ের ফোন পেয়ে ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে তদন্তকারীরা গিয়ে দেখেন, ঘরে আধখাওয়া চায়ের কাপ পড়ে রয়েছে। খুনি বাড়িতে
ঢুকে চা খেয়ে তার পরে খুন করেছে বলেই অনুমান পুলিশের। তদন্তের কিনারা করতে ওই বাড়ির আশপাশের রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ।
ওই রাতে বিশ্বজিৎবাবুর ছোট মেয়ে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে পার্ক সার্কাসের
শপিং মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় কড়েয়া থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা মৃতের ছোট মেয়ে বিজেতা ও তাঁর প্রোমোটার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শনিবারও বিজেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু খুনের কিনারা হয়নি। এ দিন কড়েয়া থানার পুলিশ ব্রড স্ট্রিট ও সংলগ্ন বেশ কিছু রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। বিজেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার রাত দশটা নাগাদ বিশ্বজিৎবাবুর সঙ্গে তাঁর শেষ বার কথা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্রড স্ট্রিটের যে বাড়িতে বিশ্বজিৎবাবু থাকতেন, সেটি শরিকি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই বাড়ি বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। এ ক্ষেত্রে সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই বৃদ্ধ খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান পুলিশের।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।