Kolkata

‘আমি গর্বিত বাঙালি’, কলকাতায় দায়িত্ব পেয়ে কেন বললেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার?

বা‌ঙালি না হলেও জন্মসূত্রে বাংলার সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে ৬০ বছর বয়সি পিটারের। সম্প্রতি কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সেই সূত্রে ফিরেছেন চেনা পুরনো শহরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:১১
Share:
British high commissioner said he is a proud Bengali after he was appointed in the city.

কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন পিটার কুক। ছবি: সংগৃহীত।

‘‘আমি বাঙালি, আমি গর্বিত বাঙালি।’’ কলকাতায় দায়িত্ব পেয়ে ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার পিটার কুক এমনটাই মন্তব্য করেছেন। তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভাষা ছিল বাংলা। অথচ, তিনি বাঙালি নন। আদ্যোপান্ত ব্রিটিশ।

Advertisement

আসলে বা‌ঙালি না হলেও জন্মসূত্রে বাংলার সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে ৬০ বছর বয়সি পিটারের। কলকাতাতেই জন্ম তাঁর। ছোটবেলাও কেটেছে এই ‘সিটি অফ জয়’-তে। ১৯৬৩ সালে কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে জন্ম হয় কুকের। তাঁর জন্মদিনটির বিশেষত্ব রয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগস্টে পৃথিবীতে আসেন এই ব্রিটিশ পুত্র।

কুকের বাবা রেভারেন্ড জন ওয়্যার কুক কলকাতার সেন্ট অ্যান্ড্রিউ চার্চের যাজক ছিলেন। সত্তরের দশক পর্যন্ত এই শহরেই ছিলেন তাঁরা। পরে ব্রিটেনে ফিরে যান।

Advertisement

সম্প্রতি কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন কুক। পুরনো শহরে ফিরে তাই নস্টালজিয়া ঘিরে ধরেছে তাঁকে। কলকাতায় এসে ছোটবেলার প্রিয় জায়গাগুলিতে গিয়েছেন কুক। সঙ্গে নিয়েছেন একগুচ্ছ পুরনো ছবি। ছবির সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্মৃতি মিলিয়ে দেখেছেন।

কুক বলেন, ‘‘নিজের শিকড় মনে রেখেছি আমি। আমার বাড়ি ছিল বর্ধমান রোডে। এখন অন্য কেউ সেখানে থাকেন। কিন্তু আমি সেখানে গিয়ে জায়গাটা ঘুরে দেখেছি। ছোটবেলার স্মৃতি ঝালিয়ে নিয়েছি।’’ কলকাতায় কুক একা আসেননি। বৃদ্ধা মা এলিজ়াবেথকেও পুরনো জায়গায় নিয়ে এসেছেন।

কুকের কাছে পুরনো কলকাতার যে সমস্ত ছবি রয়েছে, তাতে সেন্ট অ্যান্ড্রিউ চার্চে তাঁর ছবি থেকে শুরু করে জলমগ্ন কলকাতা, পুরনো দিনের নানান ঝলক রয়েছে। কুক জানান, ছোটবেলা থেকে মাছের ঝোল, মাছের পাতুরি, মিষ্টি দই এবং রসগোল্লা খেতে তিনি ভালবাসেন।

কাজের সূত্রে কলকাতায় এসে নতুন করে বাংলা শিখছেন তিনি। বাংলা তিনি জানেন। আর কিছু দিনের মধ্যে আরও ঝরঝরে বাংলা তিনি বলতে পারবেন বলে আশাবাদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement