গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়া ময়দানে পৌঁছল প্রথম মেট্রো। ছবি সৌজন্যে: কলকাতা মেট্রো।
২৪ অক্টোবর, ১৯৮৪। ভারতের প্রথম পাতালরেল চলেছিল কলকাতার এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে ভবানীপুর (অধুনা নেতাজি ভবন স্টেশন) পর্যন্ত। ১২ এপ্রিল, ২০২৩। গঙ্গা পেরিয়ে মেট্রো পৌঁছে গেল বাংলার দ্বিতীয় শহর হাওড়াতেও। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানই বলা যেতে পারে একে। কারণ খুব শীঘ্রই শহরবাসীর একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মেট্রোপথে জুড়ে যেতে চলেছে হাওড়া এবং কলকাতা। তারই প্রস্তুতি হিসাবে বুধবার মেট্রোর দু’টি রেক গঙ্গার নীচে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ দিয়ে পৌঁছল হাওড়ায়। মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পি উদয়শঙ্কর রেড্ডি নিজে একটি রেকে সওয়ার হয়ে কলকাতার দিক থেকে নবনির্মিত হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনে এসে নামেন। মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত হাওড়া ময়দান স্টেশনেই থাকবে রেক দু’টি। ওখান থেকেই ট্রায়াল রান শুরু হয়ে যাবে।
বুধবার সকাল ১১টা ৫২ মিনিটে প্রথম রেকটি হাওড়া ময়দানে এসে পৌঁছয়। কিছু সময় পরেই দ্বিতীয় রেকটিও চলে আসে। তবে কলকাতা মেট্রোর তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ওই রুটে এখনই পরীক্ষামূলক ভাবে মেট্রো চালানো হচ্ছে না। এটি ট্রায়াল রানের অংশও নয়। তবে খুব শীঘ্রই পরীক্ষামূলক চলাচল বা ট্রায়াল রান শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রোর জিএম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এটা কলকাতা শহরের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আগামী সাত মাস এই ট্রায়াল চলবে। এটা ট্রায়াল রানের প্রস্তুতি পর্ব। ট্রায়াল রান নয়।” ঐতিহাসিক মূহূর্তের কথা উঠে এসেছে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের কথাতেও। তিনি বলেন, “কলকাতা মেট্রোর জন্য এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বহু বাধা অতিক্রম করে আমরা মেট্রো রেককে হাওড়া অবধি নিয়ে যেতে পারলাম। কলকাতা এবং শহরতলির মানুষকে বিশেষ উপহার দিতে চলেছে ভারতীয় রেল।”
রবিবারই এই রুটে শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত রেক নিয়ে যাওয়ার সময়ে মন্থর গতির ব্যাটারিচালিত লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়েছিল। লাইনের চড়াই-উতরাই বেশি হলে ওই ইঞ্জিন ব্যবহার করা যায় না। আবার, দ্রুত ছোটাতে গেলে চাকা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই রবিবার রেকটি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছিল বলে খবর।