প্রতীকী ছবি।
টাকার ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে আসা এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করে সেই ব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে রাতের শহরে একের পর এক সিগন্যাল ভেঙেছিলেন চালক। সে ক্ষেত্রেও গাড়িটিকে চিহ্নিত করে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যেই।
বর্তমানে অপরাধের কিনারা থেকে শুরু করে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ— সব কিছুতেই রয়েছে সিসি ক্যামেরার ভূমিকা। সিসি ক্যামেরার উপরে অনেকাংশেই নির্ভরশীল পুলিশ। আর তাই শহরের পথে থাকা কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, বা তা দিয়ে কী উপকার হচ্ছে— সে বিষয়ে জানতে সমীক্ষা করছে বুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিপিআরডি)।
লালবাজার সূত্রের খবর, সমীক্ষার জন্য বিপিআরডি-র তরফে আট দফায় মোট ৭০টি প্রশ্নের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যা গত সপ্তাহেই কলকাতা পুলিশের সব থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডে পাঠানো হয়েছে। সোমবারের মধ্যেই ওই ৭০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তা গোয়েন্দা বিভাগের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আধিকারিকদের।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে শহরের পথে যে চার হাজারেরও বেশি সিসি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলির সম্পর্কেই সমীক্ষায় মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই ক্যামেরা বসানোর পরে এলাকায় অপরাধ কমেছে কি না, অপরাধের কিনারা করতে সিসি ক্যামেরা কী ভাবে সাহায্য করছে, ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে জেনে অপরাধের সময়ে দুষ্কৃতীদের মধ্যে আচরণগত কোনও পরিবর্তন এসেছে কি না— এই সব প্রশ্নই করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। এ ছাড়াও, সিসি ক্যামেরার উপকারিতা কী কী, সেই প্রশ্নও করা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, কোনও মামলায় কী ভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সাহায্য করছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে সুবিধা হচ্ছে কি না— এমন প্রশ্নও রয়েছে ওই ৭০টি প্রশ্নের তালিকায়।
লালবাজার জানিয়েছে, বিপিআরডি-র সমীক্ষায় ক্যামেরার যান্ত্রিক বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। কী কী ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে সাফল্য এসেছে, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা নিয়ে কত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, দৈনিক সিসিটিভি নজরদারির ক্ষেত্রে কত ক্ষণ বা কত দিন পরপর ওই রেকর্ডেড ছবির অডিট করা হয়— সেই সব প্রশ্নের উত্তরও দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, বর্তমানে শহরের স্কুল-কলেজগুলির সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সব থানা এলাকাতেও বাড়ছে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা। মূলত সিসি ক্যামেরার নজরদারি পদ্ধতি কী কী ভাবে আরও নিখুঁত করা যায়, তা জানতেই ওই সমীক্ষা চলছে।