Ruby Hospital

৩৮ শতাংশ কর্মক্ষম ছিল হৃৎপিণ্ড, সুস্থ হল বালক

হাসপাতাল সূত্রের খবর, বাড়ি ফেরার সময়ে বালকের হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা ৬০ শতাংশ হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২১ ০৫:২৮
Share:

ফাইল চিত্র

জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, অ্যাকিউট প্যাংক্রিয়াটাইটিসের শিকার সে। তার উপসর্গ ছিল জ্বর, বমি, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্ট। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বছর বারোর সেই বালককে নিয়ে আসে তার পরিবার।

Advertisement

ওই হাসপাতালের শিশুরোগ চিকিৎসক নিকোলা ফ্লিনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয় বালক। রুবি জেনারেল হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) ১১ দিন ভর্তি থাকার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে সে। রুবি হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভর্তির সময়ে তার পালস রেট ছিল অত্যন্ত ক্ষীণ, রক্তচাপ মাপাই যাচ্ছিল না। শ্বাসের ওঠানামার হার ছিল মিনিটে ৫০। ট্যাকিকার্ডিয়ার কারণে হৃৎস্পন্দন ছিল মিনিটে ১৬০। হৃৎপিণ্ড ৩৮ শতাংশ কাজ করছিল।

চিকিৎসকেরা জানান, বালকের দেহ-তরলে খুব বেশি বিপাকীয় অ্যাসিড রয়েছে। ডি-ডাইমার ৯২১০, এনটি পিআরও বিএনপি ৩০০৮৬, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন ২৯৬ এবং প্লেটলেট ছিল ১.২ লক্ষ। যা দেখে চিকিৎসকেরা বোঝেন, কোভিড-পরবর্তী জটিলতার শিকার ওই বালক। যাকে বলে ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন’ (এমআইএস-সি)। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। পালস রেট বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হলেও নজ‍র রাখতে হচ্ছিল, তা যেন অতিরিক্ত না হয়। ফলে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর চলেছিল পর্যবেক্ষণ। সঙ্গে আরও ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন।

Advertisement

চিকিৎসক ফ্লিন বলেন, “রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ওর অ্যান্টি-কোভিড অ্যান্টিবডি ছিল ১৬৩। যা প্রমাণ করছিল, সপ্তাহ তিনেক আগে বা মাস কয়েকের মধ্যে ওর কোভিড হয়েছিল।”

হাসপাতাল সূত্রের খবর, বাড়ি ফেরার সময়ে বালকের হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা ৬০ শতাংশ হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement