মেট্রোয় চেক বিলি শুরু, নোটিস আরও বাসিন্দাকে

‘কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশেন লিমিটেড’ কর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিপজ্জনক এলাকার মধ্যে থাকা বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে রাখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

ক্ষতিপূরণ: বৌবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের হাতে চেক তুলে দিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শনিবার ধর্মতলায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শনিবার দুপুরে দুর্গা পিতুরি লেন এবং সেকরাপাড়া লেনে ফের কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাদের নোটিস দিয়ে অন্যত্র সরানো হল।

Advertisement

‘কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশেন লিমিটেড’ কর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিপজ্জনক এলাকার মধ্যে থাকা বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত ৬৮টি বাড়ির দু-একটি বাদে বেশির ভাগ বাড়ির বাসিন্দাদের শহরের বিভিন্ন হোটেলে সরানো হয়েছে।

ধসের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সুড়ঙ্গের সামনের দিকে তৈরি করা আবদ্ধ প্রকোষ্ঠে জলের চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই প্রকোষ্ঠে জল ভর্তি করার পরে ধসের মাত্রা অনেকটা কমে এলেও তা পুরো বন্ধ হয়নি। জলের সঙ্গে নরম মাটি এবং বালি পরিমাণে অল্প হলেও সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢুকছে। কয়েক মিলিমিটারের ওই ক্ষয় আপাতত শূন্যে নামিয়ে আনাই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাজ।

Advertisement

গত দু’দিনে জলের চাপে ওই প্রকোষ্ঠের দ্বিস্তরীয় প্রাচীরের কিছুটা ক্ষতি হওয়ায় শুক্রবার তৃতীয় একটি প্রাচীর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। আজ, রবিবার ওই কাজ শেষ করে দুপুরের দিকে ফের সুড়ঙ্গে জল ভর্তি করার কাজ শুরু হবে। কেএমআরসিএলের কর্তাদের আশা, সোমবারের মধ্যে বৌবাজার এলাকায় ধস নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। ঘটনাস্থলে মাটির উপর থেকে ‘গ্রাউটিং’ (সিমেন্ট-বালির মিশ্রণ ঢালা) প্রক্রিয়া চলছে। বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কার দুর্ঘটনাস্থলের বেশি কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ধস নামা বন্ধ হলে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে। যে সব বাড়ির আপাত দৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হয়নি, সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করতে চলেছে বিশেষজ্ঞদের কমিটি। আজ, তা শুরু হতে পারে।

এ দিন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া শুরু করেন। ধর্মতলায় সংস্থার সাইট অফিস থেকে ১৯টি পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা করে চেক দেওয়া হয়। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।

চেক নিতে এসে ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে দরকারি জিনিস বার করতে না পারায় সেকরাপাড়া রোডের বাসিন্দা ঝিলিক মিত্র ও দেবাশিস সেন এবং দুর্গা পিতুরি লেন, সেকরা পাড়া লেনের বাসিন্দা নিমাই চাঁদ লাহা এবং দে‌বাশিস সেন অভিযোগ জানান। ঝিলিক বাবুর একমাত্র পুত্র ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার কাগজ আনতে না পারায় সমস্যায় পড়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement