ফাইল চিত্র।
বইমেলার দ্বিতীয় দিনে কয়েক দফার বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল লিটল ম্যাগাজ়িনের প্যাভিলিয়ন। জল ঢুকে বই ভিজে যায় বেশ কিছু স্টলেও। মেলা চত্বরে জমা জল ও কাদার জেরে দুর্ভোগে পড়েছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই।
ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস মেলায় তাই পরিস্থিতি সামলাতে আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। মেলা চত্বরে মজুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল ও প্লাস্টিক। তবে বৃষ্টি হলে তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় বিক্রেতারা। কারণ, স্টল তৈরির সময়েই রয়ে গিয়েছে কারিগরি ত্রুটি। এর আগে ছাদ ও দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে জল ঢুকেছিল স্টলের ভিতরে। মেলা চলাকালীন সেই সমস্যা মেটানো মুশকিল। তাই এ বারের মতো ত্রিপল আর প্লাস্টিক দিয়েই জল আটকানোর পরিকল্পনা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে স্টল তৈরির আগে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, স্টলগুলির অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থাও উন্নত করার কথা ভাবা হচ্ছে। বইপ্রেমীদের একাংশ জানান, ভবিষ্যতে বিশেষ ব্যবস্থা হলে ভালই হয়। এ বার বৃষ্টির জেরে খুবই সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা। চার দিক খোলা লিটল ম্যাগাজ়িন প্যাভিলিয়নেও জল ঠেকাতে ভাবনাচিন্তা করা দরকার।
প্রকাশকেরা জানান, গত সপ্তাহে ক্রেতারাও ভেজা বই কিনতে রাজি হননি। অতিরিক্ত ছাড় দিলেও
ভেজা বই নিতে অস্বীকার করেন অনেক ক্রেতাই। বৃষ্টির জেরে সতর্কতা হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল কিছু ক্ষণ। ফলে পাখা চালিয়ে বই শুকোনোর সুবিধাও মেলেনি ওই সময়ে।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানান, ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় মঙ্গলবার রাত থেকেই স্টলগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। আপৎকালীন ব্যবস্থাও
নেওয়া হচ্ছে।