কালীঘাট স্কাইওয়াকের নকশা দেখে সম্প্রতি একটিতে ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশন নকশা তৈরি করে জমা দিয়েছিল কলকাতা পুরসভায়। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম তা দেখান মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি তাতেই ছাড়পত্র মেলে।
স্কাইওয়াকের কাজ দ্রুত শুরু করতে রাইটসের ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেন মেয়র। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ওই স্কাইওয়াক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা ও রাইটসের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, স্কাইওয়াক তৈরিতে যাতে কোনও গাফিলতি বা কাজে অকারণ দেরি না হয় সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।
রাইটসের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, কালীঘাট স্কাইওয়াকের পাঁচটি নকশা তৈরি করে কলকাতা পুরসভায় জমা দেওয়া হয়েছিল। তার-ই একটি নকশা বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কর্তা জানান, পুরসভা থেকে অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু করবে রাইটস। অনুমোদনের আঠারো মাসের মধ্যে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শেষ করা হবে। স্কাইওয়াক তৈরির খরচ ধার্য হয়েছে ১১৫-১৫০ কোটি টাকা। টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
পুরসভা এবং রাইটসের আধিকারিক সূত্রের খবর, কালীঘাট স্কাইওয়াকের যে নকশাটি অনুমোদন পেয়েছে সেটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড থেকে কালী টেম্পল রোড পর্যন্ত লম্বায় ৪৩০ মিটার। চওড়ায় সাড়ে ১০ মিটার। চারটি চলমান সিঁড়ি থাকবে স্কাইওয়াকে। কালীঘাট থানার সামনে থেকে চলমান সিঁড়িতে ওঠার ব্যবস্থাও থাকবে। স্কাইওয়াকের নীচ দিয়ে গাড়ি যাবে। রাইটসের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, মন্দির চত্বরে স্কাইওয়াক হলে গাড়ি রাখার আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। গঙ্গার ধারে সেই ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা দেখতে হবে।