Jadavpur University

‘পরীক্ষা-দুর্নীতি’তে নাম সহ-উপাচার্যের, পাল্টা তির শিক্ষক নেতার দিকেও

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা ও ফল প্রকাশ নিয়ে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে হোর্ডিং দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন আবুটা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক দিকে অভিযোগ, পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং ফল প্রকাশের বিষয়ে দুর্নীতিতে জড়িত সহ-উপাচার্য স্বয়ং। অন্য দিকে, যাঁরা এমন অভিযোগ তুলছেন, সেই শিক্ষক সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে আবার দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা এবং ক্লাস না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই জোড়া অভিযোগ ঘিরে এখন সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা ও ফল প্রকাশ নিয়ে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই বিষয়ে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে হোর্ডিং দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন আবুটা। সেখানে সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এক সময়ে পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের দায়িত্বে ছিলেন সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। পরীক্ষা পরিচালনা এবং ফল প্রকাশের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। আবুটার নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান গৌতম মাইতি এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ প্রক্রিয়ায় অবাধ দুর্নীতি ও বিধি-বহির্ভূত কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে চিরঞ্জীববাবুর ভূমিকার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সকলকে তদন্তসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার আবুটার তরফে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

আবুটার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ দিন উপাচার্য বলেন, ‘‘সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র প্রশাসনকে অভিযুক্ত করা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রথাগত নিয়মের বাইরে কাজের অভিযোগ আর দুর্নীতি সমার্থক নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রথাগত নিয়মের বাইরে গিয়ে ছাত্র-স্বার্থে যদি সহ-উপাচার্য কিছু করে থাকেন, সেই দায় শুধু তাঁর নয়, সমগ্র প্রশাসনের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ সমিতিগুলিরও (স্ট্যাটিউটরি বডি)।’’ উপাচার্য জানান, এ দিন তাঁর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তিনিও লিখিত ভাবেই যা জানানোর জানাবেন। তবে সহ-উপাচার্যকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

এ দিকে, গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা এবং ক্লাস না নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছি, তাই আমার বিরুদ্ধে কায়েমি স্বার্থে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। আগে তো কখনও করা হয়নি!’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত ব্যর্থ। কিন্তু সহ-উপাচার্য দুর্নীতি করেছেন, এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।’’ গৌতমবাবুর বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও শিক্ষক ছুটি না নিয়ে দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন না, ক্লাস নেবেন না— তা কখনওই কাম্য নয়। কারণ, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ সবার উপরে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement