বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। ফাইল ছবি
কোথাও বেআইনি ভাবে তলা বাড়ানো হয়েছে বহুতলের। কোথাও নির্দিষ্ট ছাড়ের তোয়াক্কা না করেই মাথা তুলেছে বহুতল। কোথাও পুর অনুমতি না নিয়েই আবাসিক বাড়ির তলা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ধরনের বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। বুধবার পুর বোর্ডের বৈঠকে ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণের খবর পেলেই তা পুরসভার নজরে আনতে হবে। অভিযোগ করতে হবে পুলিশে।
উল্লেখ্য, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে তলা বৃদ্ধির অভিযোগ পুরসভাকে জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। এমনকি বিগত একটি বোর্ডের বৈঠকে তিনি মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সামনেই পুর আধিকারিকদের সমালোচনা করেন। কৃষ্ণা এ দিন জানান, ওই বাড়িটি খালি করাতে মহকুমা এবং জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলে সব দিক বিচার করে নিতে হয়। চেয়ারম্যানের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পুরসভা পদক্ষেপ করে। তবুও কাউন্সিলরদের এ দিন বলা হয়েছে, কোনও খবর পেলেই পুরসভার নজরে আনতে।’’
এ দিনের বৈঠকে কাউন্সিলরদের মেয়র জানান, বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। প্রয়োজনে তিনি নিজে সেই নির্মাণস্থল পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় আরও জোরদার কাজ করতে হবে। আগামী শুক্রবার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রোন উড়িয়ে মশার লার্ভার খোঁজ চলবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ওই ওয়ার্ড থেকে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির খবর এসেছে পুরসভায়। যদিও বিধাননগর পুর এলাকার রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বলে খবর। মেয়র জানান, অনেক জায়গায় ফাঁকা জমি আবর্জনা, আগাছায় ভরে থাকছে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজারহাট-গোপালপুরের কিছু এলাকায় বেআইনি ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে তা বিক্রির রমরমা কারবার চলছে। এ দিন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ পুরসভায় এই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে খবর। উল্লেখ্য, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে এখনও ভূপৃষ্ঠের মিষ্টি জল ঢোকেনি। ফলে এমন বেআইনি ব্যবসা অনেক জায়গাতেই চলছে। মেয়র জানান, অম্রুত প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুজোর পর থেকে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে। বিধাননগরের বহু রাস্তার সংস্কারও বর্ষার কারণে পুজোর পরেই শুরু হবে বলে মেয়র জানান।