বিধানগর পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শেষ বৈঠক।
মেয়াদ শেষ হতে হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। শুক্রবার বিধাননগরের বর্তমান পুর বোর্ডের শেষ বৈঠক ছিল সল্টলেকের বিডি প্রেক্ষাগৃহে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে পুরসভার আয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সম্পত্তিকর যথাযথ মাত্রায় আদায় না হওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্ব বাড়ানোর কথা জানান কাউন্সিলরেরা।
২০১৫ সালে অক্টোবর মাসে বিধাননগর পুরসভার নির্বাচন হয়। সাবেক বিধাননগরের সঙ্গে সাবেক রাজারহাট গোপালপুর পুর এলাকা এবং কয়েকটি সংযুক্ত এলাকা যুক্ত করে নতুন বিধাননগর পুরসভা গঠিত হয়। মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি তিনি ইস্তফা দেন এবং পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পরে মেয়র হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, উন্নয়নের কথা বলেই রাজারহাট-গোপালপুর এবং সল্টলেককে মেলানো হয়েছিল। কিন্তু পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ-সহ কয়েকটি প্রকল্প ছাড়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। বরং বহু ক্ষেত্রে পরিষেবায় ঘাটতি রয়েছে। পুরসভার একটি অংশের যুক্তি, মেয়র বদল ঘিরে জটিলতা, আমপান ও করোনার মতো পরিস্থিতির জন্য কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ঘোষিত প্রকল্পের মধ্যে কিছু কাজ হয়েছে, বাকি কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। পুর কর্তৃপক্ষেরর দাবি, এক বছরে কিছু কাজ করা হয়েছে। বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেয়াদ শেষের আগেই বকেয়া প্রকল্প দ্রুত শুরু করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এক দিকে পুরসভার যেমন আয় তুলনায় কমেছে, তেমনই ব্যয় বেড়েছে। তার মাঝেও পরিষেবা বজায় রাখা হয়েছে এবং পরিষেবাকে উন্নত করতে একাধিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে যা কার্যকর করা হবে বলে মত পুরসভার।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “গত এক বছর বিধাননগরের মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তার মধ্যে পরিস্রুত পানীয় জল দেওয়ার দাবি পূরণ করা গিয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। রাস্তা এবং আলোর কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।”