বিধানসভায় বাজেট পেশ মুখ্যমন্ত্রীর। —নিজস্ব চিত্র
রাজ্য বাজেটে শিক্ষা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচুর স্কুল তৈরির প্রস্তাব থেকে শুরু করে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির মতো প্রস্তাব রেখেছেন মমতা। এ ছাড়া মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য, বিনামূল্যে আবাসনে থেকে পড়াশোনার মতো প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে ভোটের আগে শিক্ষা খাতে দরাজ হাতে বিপুল বরাদ্দের ঘোষণা রাজ্য বাজেটে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা। বাজেটে তাঁদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটালেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব বাজেটে দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য প্রচুর স্কুল তৈরির কথা বলা হয়েছে বাজেটে। তফসিলি জাতি, উপজাতি, দুঃস্থদের জন্য ১০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে। অলচিকি লিপিতে পড়ার জন্য ৫০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে। সেই সব স্কুলেও নতুন শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই খাতে মোট বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।
উত্তরবঙ্গে চা-শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনার উন্নতির দিকেও মুখ্যমন্ত্রী নজর দিয়েছেন। আগামী ৫ বছরে এই সব এলাকায় ১০০টি স্কুল তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নেপালি, হিন্দি, রাজবংশী ভাষার মতো আঞ্চলিক ভাষা পড়ানো হবে এমন ১০০টি স্কুলও তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সহায়তার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। পিছিয়ে পড়া অংশের অসহায় পড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে হস্টেলে থেকে পড়াশোনার বন্দোবস্ত করার প্রস্তাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া যুবশক্তি প্রকল্পে ১০ হাজার পড়ুয়াকে প্রতি ২ বছরে সরকারি দফতরে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হবে। এর জন্য বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা। এ বছর থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রকল্প প্রতি বছরই চলবে বলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সে জন্য বরাদ্দ ৯০০ কোটি টাকা।