Behala

কুকুরের তাড়াই দুর্ঘটনার কারণ, দাবি ধৃত লরিচালকের

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত লরিমালিকের নাম আলামিন আলি দেওয়ান। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি ভাঙড় থানার চন্দনেশ্বর এলাকায়। দুর্ঘটনার দু’দিন পরে সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৬
Share:

পুলিশের দাবি, এমন একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।

স্কুটার দেখে আচমকা তাড়া করেছিল একটি কুকুর। তার হাত থেকে বাঁচতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারান স্কুটারচালক। আরোহীর আসনে বসা সিভিক ভলান্টিয়ার মহিলা পড়ে যান রাস্তায়। আর ঠিক তখনই পিছন থেকে আসা একটি লরি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পর্ণশ্রীর বীরেন রায় রোডে দুর্ঘটনায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে পুলিশের কাছে এমনই দাবি করলেন লরিটির ধৃত মালিক। তবে দুর্ঘটনার পরে কেন তিনি পালিয়ে গেলেন? কেনই বা থানায় গেলেন না?— পুলিশের দাবি, এমন একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁর দাবি খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত লরিমালিকের নাম আলামিন আলি দেওয়ান। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি ভাঙড় থানার চন্দনেশ্বর এলাকায়। দুর্ঘটনার দু’দিন পরে সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় আলামিন জািনয়েছেন, তিনি নিজেই লরিটি চালাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গেছিলেন খালাসি।

কুকুরের তাড়াকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন অভিযুক্ত চালক। ধৃতের আরও দাবি, আচমকা ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর লরির সামনে পড়ে যান। পুলিশ যদিও ধৃতের সব দাবি খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, লরিটি আলামিনই চালাচ্ছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাও।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ পর্ণশ্রী থানা এলাকার বীরেন রায় রোডে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সীমা দাস নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। তিনি বৌবাজার থানায় কর্মরত ছিলেন। ওই দিন স্বামীর সঙ্গে স্কুটারে ডিউটিতে আসার সময়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন সীমা। লরিতে পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার পরে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ লরিটি আটক করলেও চালক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন। অবশেষে সোমবার গ্রেফতার করা হল তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement