—ফাইল চিত্র
কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে সহকর্মীদের উদ্দেশে লিখিত বার্তায় ঝরে পড়ল বাহিনী সম্পর্কে প্রশংসা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
লালবাজার সূত্রের খবর, সহকর্মীদের উদ্দেশে লিখিত ওই বার্তায় বিদায়ী পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা যেমন বাহিনীর কাজের প্রশংসা করেছেন, তেমনই কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পুলিশের একটি অংশের মতে, শীর্ষ পদাধিকারী হিসেবে এটা অনুজের সৌজন্যতা। যা অন্য ভাবে দেখা অনুচিত।
আজ, সোমবার দুপুরে কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন সৌমেন মিত্র। অনুজ শর্মা চলে যাবেন এডিজি সিআইডি পদে। তার আগে আজ সকালে পুলিশকর্মীদের করোনা প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচির সূচনা করবেন তিনি পুলিশ হাসপাতালে। লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিন পুলিশ হাসপাতালে প্রথম প্রতিষেধক নেবেন কমিশনার হিসেবে অনুজ শর্মা। এর পর এক এক করে বাহিনীর প্রতিটি র্যাঙ্কের এক জন করে অফিসার-কর্মীকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রথম দিন একশো জনকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এর পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতাল, যেখানে করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে সেখান থেকে বাহিনীর অফিসার-কর্মীদের তা দেওয়া হবে বলে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন।
রবিবার বাহিনীকে পাঠানো বার্তায় বিদায়ী কমিশনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা থেকে শহরের যান চলাচল— সব বিষয়ে অফিসার এবং কর্মীদের পেশাদারি মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। করোনা মহামারি এবং আমপানের সময়ে যে ভাবে বাহিনীর সকল স্তরের পুলিশকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বলে বার্তায় উল্লেখ করেছেন অনুজ। গত দু’বছর যে ভাবে তিনি সকলের সাহায্য পেয়েছেন সে জন্যও শেষে ধন্যবাদ দিয়েছেন সিপি।
লালবাজার সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম দফায় দায়িত্ব নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন অনুজ শর্মাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়। অবশ্য ভোট মিটে গেলে নবান্ন আবার তাঁকে ওই পদে ফিরে দেয়। সেই হিসেবে অনুজ শর্মার এটি ছিল কলকাতার কমিশনার হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস। দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়েই গভীর রাত পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাকাতল্লাশি ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি। সেই তল্লাশিতে রাতে রাস্তায় থাকতে হত শীর্ষ কর্তা থেকে থানার আধিকারিককে।