বুলবুলের ধাক্কা সামাল দিতে তৈরি বাঙুর

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, এ ধরনের বিপর্যয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-সহ প্রত্যেকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুলবুল নিয়ে সতর্কবার্তা জারি হওয়ার সঙ্গে সুষ্ঠু পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছেন বাঙুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র পরে ‘বুলবুল’-এর জন্যও প্রস্তুত এম আর বাঙুর হাসপাতাল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে কী ভাবে পরিষেবা দিতে হবে, তা নিয়ে কয়েক বছর আগে হাসপাতালের কর্মী-প্রশাসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য এম আর বাঙুরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, এ ধরনের বিপর্যয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-সহ প্রত্যেকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুলবুল নিয়ে সতর্কবার্তা জারি হওয়ার সঙ্গে সুষ্ঠু পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছেন বাঙুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ে জখম কেউ হাসপাতালে এলে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ১০টি শয্যার একটি ওয়ার্ড তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লাড ব্যাঙ্ক, ফার্মাসি-সহ হাসপাতালের অন্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

কী ধরনের রোগীদের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা? হাসপাতালের এক কর্তা জানান, এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গাছ বা দেওয়াল চাপা পড়ে কেউ যদি জখম হন বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে, তা হলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, অনেক সময়ে সমন্বয়ের অভাবে এ ধরনের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ে। তা যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। হাসপাতালের এক কর্তা জানান, ফণীর সময়ে একই ভাবে তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন। এ বারও তার অন্যথা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement