গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভার পাশাপাশি অন্য তিন রাজ্যের উপনির্বাচনেও হেরে গেল বিজেপি। বিহারে এনডিএ জোটের দখলে থাকা বিধানসভা আসনে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর (উত্তর) এবং ছত্তীসগঢ়ের খৈরাগঢ় বিধানসভা আসনেও কংগ্রেসের কাছে পরাস্ত হয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে ২০২২ সালের প্রথম স্বতন্ত্র উপনির্বাচন পর্বে নরেন্দ্র মোদীর দলের ঝুলি শূন্য!
বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বোচাহাঁ কেন্দ্রে এনডিএ জোটের ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’ (ভিআইপি)-র প্রার্থী মুশাফির পাসোয়ান জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটি এ বার ভিআইপি-কে ছাড়েনি বিজেপি। ফলে দু’দল আলাদা ভাবে লড়ে। ফল বলছে, সেখানে প্রায় সাড়ে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-র প্রার্থী। বিজেপি প্রায় ২৭ শতাংশ এবং ভিআইপি প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
ছত্তীসগঢ়ের খৈরাগঢ় আসনে ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতেছিল প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এ বারও ত্রিমুখী লড়াইয়ে দ্বিতীয় হয়েছে পদ্ম-শিবির। সেখানে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী। কংগ্রেস প্রায় সাড়ে ৫৩ শতাংশ এবং বিজেপি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে সেখানে।
মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর (উত্তর) বিধানসভা কেন্দ্রটি এ বার ভোট বাড়িয়ে পুনর্দখল করেছে কংগ্রেস। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে সেখানে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন কংগ্রেসের চন্দ্রকান্ত পাটিল যাদব। তাঁর মৃত্যুতে খালি হওয়া আসনে এ বার চন্দ্রকান্তের স্ত্রী জয়শ্রীকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন তিনি। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট।