প্রতীকী ছবি।
অনলাইনে টাকা লেনদেনের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ায় ৪৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। বাগুইআটির বাসিন্দা ওই মহিলা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তিস্তা ঘোষাল নামে ওই মহিলার বক্তব্য, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাগুইআটি শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাঁর যে মোবাইল নম্বর সংযুক্ত ছিল, সম্প্রতি সেটি পাল্টেছিলেন তিস্তা। নতুন নম্বর ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করিয়েছিলেন তিনি। এর পরে একটি আন্তর্জাতিক মোবাইল ওয়ালেটের সঙ্গে নিজের অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করানোর চেষ্টা করেন তিস্তা। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁর কাছে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) আসছিল না।
ওই অ্যাপে সুবিধা না হওয়ায় তিস্তা সমগোত্রীয় অন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেন। কিন্তু সেখানেও একই অসুবিধা দেখা দেয়। অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করানোর পরেও তাঁর কাছে কোনও ওটিপি আসছিল না। এর পরে তিনি ওই অ্যাপের ক্রেতা পরিষেবা দফতরে ফোন করেন। তিস্তার অভিযোগ, ওই অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরেই অন্য একটি নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। এক ব্যক্তি তাঁকে জানায়, ‘কিউ এস’ এবং ‘এনি ডেস্ক’ ডাউনলোড করতে হবে এবং সেখানে নিজের মোবাইল নম্বর, এটিএম পিন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর বসাতে হবে। তিস্তা অনলাইনে সেই তথ্য দেওয়ার পরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫ হাজার টাকা সরানো হয়।
অভিযোগকারিণীর দাবি, ফোনের ব্যক্তি তাঁকে বলেছিল, ওই তথ্য তিনি যেন আর কাউকে না দেন। এ কথা শোনার পরে তাঁর ধারণা হয় যে, তিনি ঠকবেন না। কিন্তু তা যে প্রতারকদের এক ধরনের কৌশল, তা তিনি বুঝতে পারেননি। ওই টাকা খোয়া যাওয়ায় খুবই সমস্যায় পড়েছেন তিস্তা। পুলিশের পাশাপাশি বিষয়টি ব্যাঙ্কেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মানুষকে বার বার সচেতন করেও লাভ হচ্ছে না। তাঁরা ঠিক প্রতারকদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন এবং সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। প্রতারকেরাও নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তাই লাগাতার মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে।