ফাইল চিত্র।
বাঘা যতীন উড়ালপুলের মেরামতি কী করে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল। উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে তৈরি করার প্রস্তাব থাকলেও তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। উড়ালপুলটি ভাঙলে বাঘা যতীনের কাছে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিকল্প হিসেবে উড়ালপুল না ভেঙে আধুনিক পদ্ধতিতে একাধিক নতুন স্তম্ভ তৈরি করে উড়ালপুলটিকে শক্তপোক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে, আরও আলোচনার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাঘা যতীন উড়ালপুল কী ভাবে মেরামতি হবে, তা সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটি ঠিক করবে। তবে বাঘা যতীন উড়ালপুলে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’’
কেএমডিএ সূত্রের খবর, এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন উড়ালপুল বিশেষজ্ঞেরা। কেএমডিএ নিয়ন্ত্রিত শহরের অন্যান্য সেতু এবং উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে বাঘা যতীন সেতুটির অবস্থা এই মুহূর্তে ভাল নয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে রেললাইনের উপরে ব্যস্ততম এই উড়ালপুলে গলদ ধরা পড়েছে। এর পরেই উড়ালপুলটি ভেঙে তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞের একাংশ।
সমস্যা কোথায়? কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, এই প্রস্তাবের পরেই কেএমডিএ আধিকারিকেরা ছাড়াও কলকাতা পুলিশ এবং রেলের আধিকারিকেরা এলাকার সমীক্ষা করেন। উড়ালপুলের নীচে রেলের যে লেভেল ক্রসিং রয়েছে তা যথেষ্ট পরিমাণে প্রশস্ত না হওয়ার জন্য সেখান দিয়ে গাড়ি একসঙ্গে যাওয়া আসা করতে পারবে না। সেই কারণে বিকল্প হিসেবে ওই জায়গায় আরও একটি লেভেল ক্রসিং তৈরি করতে রেলকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রেল জানিয়েছে, তাদের পক্ষে নতুন করে আরও একটি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ফলে ওই উড়ালপুল ভাঙলে রাস্তা কার্যত যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দিতে হবে। এর পরেই আধুনিক পদ্ধতিতে সেতুটি না ভেঙে স্তম্ভগুলি পাকাপোক্ত করার ব্যাপারে সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানানো হয়েছে। তারাও বিকল্প প্রস্তাবে আপাতত রাজি বলে জানিয়েছে।