সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন পরীমণি। নিজস্ব চিত্র।
বিতর্ক তাঁর হাত ধরাধরি করে চলে। মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের এলিট বাহিনী র্যাব অভিনেত্রীকে তাঁর ঢাকায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সেই বাহিনী যখন অভিনেত্রীর বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে তিনি ভেবেছিলেন ডাকাত এসেছে! আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের বেস্ট পুরস্কার হাতে নিজেই তা জানালেন পরীমণি। বললেন, ‘‘তিনি বিতর্কিত নন, সম্মানিত।’’
বছর দুই আগে পরীমণির বাড়িতে র্যাবের অভিযানের সময় প্রথমে তিনি বাড়ির দরজা খোলেননি বলে অভিযোগ। উল্টে পুলিশকে দরজার বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। অভিযোগ করেন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছেন। এর পর কিছুটা জোর করেই পুলিশবাহিনী অভিনেত্রীর বাড়িতে ঢোকে।
পরীমণিকে সে দিনের কথা জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারিনি বাড়িতে পুলিশ এসেছে। আমি ভেবেছিলাম ডাকাত এসেছে।’’
বাংলাদেশের চর্চিত নাম পরীমণি চলচ্চিত্র জগতে ব্যস্ততমও বটে। ২০১৫ সালে পর্দায় আবির্ভাবের পর থেকে গতি কমতে দেখা যায়নি পরীমণির কর্মজীবনে। ‘ভালবাসা সীমাহীন’ ছবি দিয়ে পথ চলা শুরু। তার পরেই দৌড়। একই বছর পর পর মুক্তি পায় ছ’টি ছবি। অল্প সময়েই সে দেশে মিষ্টি প্রেমের ছবির জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন পরীমণি। ‘আরও ভালবাসব তোমায়’, ‘নগর মস্তান’, ‘রক্ত’, ‘পুড়ে যায় মন’, ‘আপন মানুষ’, ‘সোনা বন্ধু’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘গুণিন’-এর মতো একের পর এক ছবির মুখ্য ভূমিকায় মুগ্ধ করেন দর্শককে।