বিক্ষুব্ধ: ট্যাংরা থানার সামনে অটোচালকেরা। নিজস্ব চিত্র
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই দুপুর পর্যন্ত শহরের চারটি রুটে অটো বন্ধ থাকায় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হলেন। বেআইনি অটো চলাচল বন্ধের দাবিতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ট্যাংরা-শিয়ালদহ, ধাপা-শিয়ালদহ, বানতলা-শিয়ালদহ এবং ধাপা-পার্ক সার্কাস রুটের প্রায় ৫৫০টি অটো চালাননি চালকেরা। ওই চারটি রুটের অটো বন্ধ থাকায় এ দিন সকালের ব্যস্ত সময়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বেআইনি অটো বন্ধের দাবিতে এ দিন দুপুরে ট্যাংরা থানায় বিক্ষোভও দেখান অটোচালকেরা। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল তিনটে নাগাদ অটো চলাচল শুরু হয়।
শহরের বিভিন্ন রুটে বেআইনি অটো চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ রয়েছে চালকদের একাংশের মধ্যে। মাসকয়েক আগে একই অভিযোগে শিয়ালদহ-বেলেঘাটা, উল্টোডাঙা-বাগুইআটি রুটের অটো চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার দুপুরে প্রায় শ’তিনেক অটোচালক ট্যাংরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। শিয়ালদহ-ট্যাংরা রুটের এক অটোচালক জয়দেব দাসের অভিযোগ, ‘‘২০১৪ সালে আমাদের রুটে ১৬৭টি অটো ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৭। খোদ অটো ইউনিয়নের কর্তাদের মদতেই বেআইনি অটোর দাপট বাড়ছে।’’ আর এক চালক নেপাল দাসের অভিযোগ, ‘‘আমরা বাধ্য হয়ে পথে নামলাম। দিনের পর দিন বেআইনি অটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোজগারে ভাটা পড়ছে।’’
চালকদের অধিকাংশই এ দিন উত্তর কলকাতার আইএনটিটিইউসি-র সম্পাদক, তৃণমূল নেতা মানা চক্রবর্তীর দিকে আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ, মানাবাবুর মদতেই বেআইনি অটোর দাপট বাড়ছে। চালকেরা এ দিন ট্যাংরা থানার সামনে মানাবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে মানাবাবু বলেন, ‘‘আমি টাকার বিনিময়ে বেআইনি অটো চালাতে মদত দিচ্ছি, এই অভিযোগের প্রমাণ মিললে যত কড়া শাস্তি হোক, মাথা পেতে নেব। আসলে লোকসভা ভোটে ট্যাংরা এলাকায় বিজেপির ফল ভালো হয়েছে। বিজেপি-র উস্কানিতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ বেআইনি অটো চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ দিন অটোচালকদের তরফে ট্যাংরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চালকদের ওই অভিযোগ যাচাই করতে পরিবহণ দফতরে পাঠানো হবে।