প্রতীকী ছবি।
আদি বনাম নব্য তৃণমূলের গোলমাল এত দিন সীমাবদ্ধ ছিল দলে। এ বার তা ছড়াল অটোচালকদের মধ্যে।
আর তার জেরে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল দমদম স্টেশন থেকে সিঁথির মোড় রুটের অটো।
পুরনো চালকদের অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে শাসক দলের নেতারা ওই রুটে প্রচুর অটো বাড়িয়েছেন। এর ফলে তাঁদের রুজিতে টান পড়ছে। প্রতিবাদে এ দিন দুপুর থেকে তাঁরা অটো চালানো বন্ধ করে দেন। রাতেই অবশ্য বিদ্রোহী চালকদের আলোচনায় ডেকেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে সমস্যা না মিটলে আপাতত ওই রুটে অটো চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চালকেরা।
এ দিকে, অটো বন্ধের জেরে চরম সমস্যায় পড়েন অসংখ্য যাত্রী। প্রসঙ্গত, বহু যাত্রী ট্রেন এবং মেট্রো ধরার জন্য দমদম স্টেশন-সিঁথির মোড় রুটের অটো ব্যবহার করেন। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, আলোচনায় সমস্যা মিটে যাবে।
চালকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে ৭২টি অটো চলত। কিন্তু বাড়তে বাড়তে সেই সংখ্যা এখন ১০২-এ এসে দাঁড়িয়েছে। পুরনো চালকদের অভিযোগ, গত ৬-৭ বছর ধরে বাড়ানো হয়েছে অটো। ওই রুটের এক চালক সোমনাথ দত্ত বলেন, ‘‘প্রথম দিকে ১০-১২টা নতুন অটো ঢোকানো হয়েছিল। কিন্তু গত দেড়-দু’বছরে প্রচুর অটো ঢোকানো হয়। এর ফলে আমরা যারা দীর্ঘদিন অটো চালাচ্ছি, তারা সমস্যায় পড়ছি। যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যের অটো চালাচ্ছেন, তাঁদের পারমিট দেওয়া হলে আপত্তি থাকত না। কিন্তু বাইরের লোকেদের পারমিট দেওয়া হচ্ছে। বঞ্চিত করা হচ্ছে পুরনো চালকদের।’’
পুরনো চালকদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা খোকন শীল টাকার বিনিময়ে ওই রুটে বাইরের অটো ঢোকাচ্ছেন। পুরনো অটোচালকেরা টাকা দিতে না পারলে তাঁরা পারমিট পাচ্ছেন না। যদিও খোকনবাবু সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
চালকদের বক্তব্য, এর আগেও প্রতিবাদ করে লাভ হয়নি। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ এক মহিলা এসে অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাঁর স্বামীকে রুট পারমিট দেওয়া হয়নি। তা থেকেই পুরনোদের সঙ্গে নতুন চালকদের গোলমালের সূত্রপাত। দুপুরের পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অটোচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানান, এলাকার কাউন্সিলর তরুণ সাহা রাতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।