জখম: এ ভাবেই মারধর করা হয়েছে মোটবাহকদের। শনিবার, কোলে মার্কেটে। —নিজস্ব চিত্র।
তোলা আদায়কে কেন্দ্র করে জনা ছয়েক মোটবাহকের উপরে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে শিয়ালদহের কোলে মার্কেট এলাকায়। শুক্রবার গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটলেও শনিবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই মোটবাহকেরা শিয়ালদহ এলাকার বিভিন্ন ফুটপাতে থাকেন।
তদন্তকারীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তারকেশ্বর সিংহ, রাজু সাউ, চন্দন কুমার এবং আখতার আহমেদ-সহ কয়েক জন মোটবাহক জিনিসপত্র মাথায় নিয়ে কোলে মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। মাছ বাজারের কাছে পৌঁছতেই জনা আটেক যুবক তাঁদের আক্রমণ করে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের হাতে ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠি ছিল। তাদের এলোপাথাড়ি হামলায় তারকেশ্বরের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। রাজু, চন্দন ও আখতারও ভাল রকম জখম হন। শিয়ালদহ মাছ বাজারের এক আড়তদারের অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় কয়েক জন যুবক জোর করে এখানকার মোটবাহকদের কাছ থেকে তোলা আদায় শুরু করে। ওদের নাম নীলু দলুই, সুনীল সিংহ এবং বান্টি সিংহ। ওরা মোটবাহকদের থেকে বাক্স-পিছু দু’টাকা করে তোলা দাবি করে। কিন্তু মোটবাহকেরা তা দিতে অস্বীকার করায় গণ্ডগোল বাধে। তখনই তাঁদের অন্যায় ভাবে মারধর করা হয়।’’
রাতে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় মোটবাহকেরা কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে মাছ বাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, আহতদের নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে এন আর এসের গেটের সামনেও তাঁদের মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছে থাকলেও তাঁরা কিছুই করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের। তাঁদের মতে, পুলিশ সক্রিয় হলে মোটবাহকদের মারধর করার সাহস পেত না দুষ্কৃতীরা।
নিগৃহীত মোটবাহক রাজুর কথায়, ‘‘চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের সবাইকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলে আমরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে নামব।’’ এ দিন সকালে ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডি সি (সেন্ট্রাল) সুধীর নীলকান্তম বলেন, ‘‘নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’