ভোট আসছে। সে দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিছিল-মিটিং শুরু করেছে। ওই সব মিছিল-মিটিংকে কেন্দ্র করে যাতে গোলমাল না হয়, তার জন্য থানাগুলিকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার। আর যদি গোলমাল হয়, সে ক্ষেত্রে তা ঠেকানোর জন্য লালবাজারের দিকে না তাকিয়ে থানাগুলিকে নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিতে বললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
শুক্রবার আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে কলকাতা পুলিশের মাসিক অপরাধ দমন বৈঠকে পুলিশ কমিশনার ওই কথা বলেন থানার আধিকারিকদের। লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে কমিশনার জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলি মিছিল-মিটিং করলে থানার বাহিনীর মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাতে এক পক্ষ অপর পক্ষের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে না পড়ে। এ ছাড়া কোনও ধরনের সমস্যা তৈরি হলে থানা যাতে দ্রুত তাতে হস্তক্ষেপ করে, তার জন্য থানার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এক পুলিশকর্তার মতে, কোনও গোলমালের শুরুতেই ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়। তাই দ্রুত সেই ব্যবস্থা নিতেই থানাকে বলেছেন কমিশনার। পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণত কোনও গোলমাল হলে থানাগুলি লালবাজারের অতিরিক্ত বাহিনীর দিকে চেয়ে থাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এ বার ঘটনা ঘটলেই স্থানীয় পুলিশ যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব ধরনের মিছিল-মিটিংয়ের সামনে, পিছনে যাতে পুলিশি পাহারা থাকে, থানাগুলিকে সেই নির্দেশও দিয়েছেন কমিশনার।
লালবাজার জানিয়েছে, নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থানাগুলিকে যতটা সম্ভব জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কমিয়ে ফেলার জন্য এ দিনের বৈঠকে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ দিনের বৈঠকে গ্রেফতার না হওয়া পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন মেনে পরবর্তী ধাপের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’’ অর্থাৎ পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রথমে হুলিয়া জারি এবং পরে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও লালবাজার বলেছে। সূত্রের দাবি, এ দিনের বৈঠকে দাগি অপরাধীদের নামের তালিকা তৈরির পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কী কী মামলা রয়েছে বা কোন কোন ধারায় তারা অভিযুক্ত, সেই সমস্ত তথ্যও তৈরি রাখতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে।
পুলিশ জানায়, নির্বাচন কমিশনের পরের বৈঠকে ওই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে। তাই তা তৈরি রাখার জন্য বলা হয়েছে বলে মনেকরা হচ্ছে।